১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানাবে সরকারকে মতামত সমন্বয় করে: আলী রীয়াজ জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর হবে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের নতুন উদ্যোগ শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর

বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দিবস আজ

বেগম খালেদা জিয়ার ১৮তম কারামুক্তি দিবস আজ। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সেনাসমর্থিত সরকার তার বাড়ি থেকে দেশের প্রিয় নেত্রী ও প্রবীণ নেত্রীর গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে, আদালতের নির্দেশে তিনি ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সংসদ ভবনের বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান। এই দিনটি দেশে গণতন্ত্রচেতা নেত্রীর মুক্তির স্মরণে পূর্ণাঙ্গ উৎসাহে পালিত হয়।

অথচ, এই স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বেগম খালেদা জিয়া সুদৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছিলেন। এক-এগারোর মৌলিক ষড়য়ন্ত্রের অংশ হিসেবে অবৈধ মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও, তার জনগণের অসামান্য সমর্থন এবং আস্থার কারণে ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে এবং আদালত তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কোনও অভিযোগ বা পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করে আবারো দমানো চেষ্টা চালানো হয়। সেই সময়ও নেত্রীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বৈরিতা ও ষড়যন্ত্রের ছক ছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যার পর, দেশের স্বাধিকার ও মর্যাদার জন্য বেগম খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। দেশপ্রেম, দৃঢ় নেতৃত্ব ও দুর্বার সংগ্রামের মাধ্যমে তিনি দেশের ইতিহাসে একজন সফল নেত্রী হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন।

তাঁর নেতৃত্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তার সাহস, দেশপ্রেম এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণে তিনি জনগণের চোখে অবিচল নেত্রী। বাংলাদেশে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও দেশের অখণ্ডতাঁর জন্য তিনি দৃঢ়ভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

অপরাধ বা ষড়যন্ত্রের দোহাই দিয়ে তাকে বারবার রাজনীতি থেকে দুরে সরানো হলেও, তিনি কখনো থেমে থাকেননি। ১৯৮২ সালে স্বাধীনতার ঘোষক ও জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর, তিনি ১৯৮৩ সালে বিএনপিতে যোগদান করেন। এরপর তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

যে সময়ে, তার নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, বিশেষ করে ১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনের ব্যাপারে অঙ্গীকার ভেঙে, শেখ হাসিনা দলীয় প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ভেঙে নির্বাচনে যান। তার কঠোর আন্দোলনের ফলস্বরূপ, ১৯৯১ সালে তিনি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন এবং বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ছিলেন বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম নারী প্রধানমন্ত্রী।

বর্তমানে, তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রতিরোধ্য একজন নেতা। আওয়ামী লীগ সরকারের নানা দমন-পীড়নের মুখেও তিনি সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বে বিএনপি মুক্ত ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।তাঁর অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, আর তার সংগ্রাম ও আত্মত্যাগই জাতির সাফল্ল্যের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বিজয় থালাপতির বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ

বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দিবস আজ

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বেগম খালেদা জিয়ার ১৮তম কারামুক্তি দিবস আজ। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সেনাসমর্থিত সরকার তার বাড়ি থেকে দেশের প্রিয় নেত্রী ও প্রবীণ নেত্রীর গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে, আদালতের নির্দেশে তিনি ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সংসদ ভবনের বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান। এই দিনটি দেশে গণতন্ত্রচেতা নেত্রীর মুক্তির স্মরণে পূর্ণাঙ্গ উৎসাহে পালিত হয়।

অথচ, এই স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বেগম খালেদা জিয়া সুদৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছিলেন। এক-এগারোর মৌলিক ষড়য়ন্ত্রের অংশ হিসেবে অবৈধ মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও, তার জনগণের অসামান্য সমর্থন এবং আস্থার কারণে ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে এবং আদালত তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কোনও অভিযোগ বা পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করে আবারো দমানো চেষ্টা চালানো হয়। সেই সময়ও নেত্রীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বৈরিতা ও ষড়যন্ত্রের ছক ছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যার পর, দেশের স্বাধিকার ও মর্যাদার জন্য বেগম খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। দেশপ্রেম, দৃঢ় নেতৃত্ব ও দুর্বার সংগ্রামের মাধ্যমে তিনি দেশের ইতিহাসে একজন সফল নেত্রী হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন।

তাঁর নেতৃত্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তার সাহস, দেশপ্রেম এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণে তিনি জনগণের চোখে অবিচল নেত্রী। বাংলাদেশে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও দেশের অখণ্ডতাঁর জন্য তিনি দৃঢ়ভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

অপরাধ বা ষড়যন্ত্রের দোহাই দিয়ে তাকে বারবার রাজনীতি থেকে দুরে সরানো হলেও, তিনি কখনো থেমে থাকেননি। ১৯৮২ সালে স্বাধীনতার ঘোষক ও জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর, তিনি ১৯৮৩ সালে বিএনপিতে যোগদান করেন। এরপর তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

যে সময়ে, তার নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, বিশেষ করে ১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনের ব্যাপারে অঙ্গীকার ভেঙে, শেখ হাসিনা দলীয় প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ভেঙে নির্বাচনে যান। তার কঠোর আন্দোলনের ফলস্বরূপ, ১৯৯১ সালে তিনি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন এবং বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ছিলেন বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম নারী প্রধানমন্ত্রী।

বর্তমানে, তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রতিরোধ্য একজন নেতা। আওয়ামী লীগ সরকারের নানা দমন-পীড়নের মুখেও তিনি সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বে বিএনপি মুক্ত ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।তাঁর অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, আর তার সংগ্রাম ও আত্মত্যাগই জাতির সাফল্ল্যের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।