০৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

মিলোসের বিখ্যাত ‘মুন বিচ’-এর কাছে বিতর্কিত হোটেল নির্মাণ বন্ধ

গ্রিসের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ মিলোসের বিখ্যাত সমুদ্র সৈকতের কাছে নির্মাণাধীন একটি বিতর্কিত হোটেল প্রকল্প অবশেষে বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় প্রশাসন এ সপ্তাহে জারি করেছে। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে অব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনাহীন নির্মাণের কারণে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় দ্বীপের পরিবেশ ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়েছে, যা নিয়ে স্থানীয় সমাজ এবং পরিবেশ প্রেমীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রিসের বিচার বিভাগ ইতিমধ্যে নতুন প্রকল্পগুলোর নিষেধাজ্ঞা ও তদন্তের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এথেন্স থেকে আলাদা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মিলোস পৌরপরিষদ বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের নগর পরিকল্পনা বিভাগ সারাকিনিকোর কাছে নির্মিত হোটেলটির নির্মাণ অনুমোদনের লাইসেন্স বাতিল করেছে। এই হোটেলটি চাঁদের মতো আকৃতির আগ্নেয়গিরির ভূদৃশ্যের জন্য বিখ্যাত ‘চাঁদের সমুদ্র সৈকত’ নামে পরিচিত। স্থানীয় কাউন্সিলের দাবি, পরিদর্শনের সময় দেখা গেছে, নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন এবং নথিপত্র পুরোপুরি সংযুক্ত হয়নি। তারা আরও জানায়, যদি আইন ও পরিবেশগত মানদণ্ড পূরণ না হয়, তবে কোনও নির্মাণ কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে না। হোটেলের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়, যা ফেব্রুয়ারিতে তুমুল ঝড়ের সৃষ্টি করে। কর্তৃপক্ষ তখন নির্মাণের অনুমতিপত্র পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয়। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এথেন্সের অ্যাক্রোপলিসের নিকটে বসবাসকারী স্থানীয় জনগণ গ্রিসের শীর্ষ প্রশাসনিক আদালতে পাঁচতলা, পাঁচ তারকা হোটেলের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জেতে। সেই হোটেলটি এলাকার সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসেবে পরিচিত হয়েছিল, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ছড়ায়। পরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় হোটেলের ওপরের দু’টি তলা অপসারণের নির্দেশ দেয়। ইতোমধ্যে, অনুমান করা হচ্ছে, এই প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ নির্মাণ কাজ ২০২৭ সাল থেকে শুরু হবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

মিলোসের বিখ্যাত ‘মুন বিচ’-এর কাছে বিতর্কিত হোটেল নির্মাণ বন্ধ

প্রকাশিতঃ ১০:৫৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গ্রিসের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ মিলোসের বিখ্যাত সমুদ্র সৈকতের কাছে নির্মাণাধীন একটি বিতর্কিত হোটেল প্রকল্প অবশেষে বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় প্রশাসন এ সপ্তাহে জারি করেছে। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে অব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনাহীন নির্মাণের কারণে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় দ্বীপের পরিবেশ ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়েছে, যা নিয়ে স্থানীয় সমাজ এবং পরিবেশ প্রেমীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রিসের বিচার বিভাগ ইতিমধ্যে নতুন প্রকল্পগুলোর নিষেধাজ্ঞা ও তদন্তের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এথেন্স থেকে আলাদা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মিলোস পৌরপরিষদ বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের নগর পরিকল্পনা বিভাগ সারাকিনিকোর কাছে নির্মিত হোটেলটির নির্মাণ অনুমোদনের লাইসেন্স বাতিল করেছে। এই হোটেলটি চাঁদের মতো আকৃতির আগ্নেয়গিরির ভূদৃশ্যের জন্য বিখ্যাত ‘চাঁদের সমুদ্র সৈকত’ নামে পরিচিত। স্থানীয় কাউন্সিলের দাবি, পরিদর্শনের সময় দেখা গেছে, নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন এবং নথিপত্র পুরোপুরি সংযুক্ত হয়নি। তারা আরও জানায়, যদি আইন ও পরিবেশগত মানদণ্ড পূরণ না হয়, তবে কোনও নির্মাণ কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে না। হোটেলের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়, যা ফেব্রুয়ারিতে তুমুল ঝড়ের সৃষ্টি করে। কর্তৃপক্ষ তখন নির্মাণের অনুমতিপত্র পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয়। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এথেন্সের অ্যাক্রোপলিসের নিকটে বসবাসকারী স্থানীয় জনগণ গ্রিসের শীর্ষ প্রশাসনিক আদালতে পাঁচতলা, পাঁচ তারকা হোটেলের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জেতে। সেই হোটেলটি এলাকার সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসেবে পরিচিত হয়েছিল, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ছড়ায়। পরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় হোটেলের ওপরের দু’টি তলা অপসারণের নির্দেশ দেয়। ইতোমধ্যে, অনুমান করা হচ্ছে, এই প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ নির্মাণ কাজ ২০২৭ সাল থেকে শুরু হবে।