১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানাবে সরকারকে মতামত সমন্বয় করে: আলী রীয়াজ জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর হবে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের নতুন উদ্যোগ শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের রপ্তানি ২২% বৃদ্ধি পেয়েছে

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গেল জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি এই বাজারে প্রায় ২২ শতাংশ বেড়েছে, যা দেশের শীর্ষ পাঁচ রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৪৯৮ কোটি ডলারের পোশাক পাঠানো হয়েছে, যা একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। এক্ষেত্রে জুলাই মাসে রপ্তানি ছিল ৭০ কোটি ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধির হার ৪.৯৭ শতাংশ।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) এর নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর প্রথম সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্র তিন হাজার পাঁচশত আটাশ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা গত বছরের একই সময় অপেক্ষা ৪.৯৬ শতাংশ বেশি।

৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের উপর পাল্টা শুল্কের হার সংশোধন করে, যা ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়। এই শুল্কহার অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম থেকে আসা পণ্যে ২০ শতাংশ, ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও পাকিস্তানের পণ্যে ১৯ শতাংশ এবং চীনকে ৩০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়।

তবে শুল্কের পরিবর্তন এবং চীন থেকে ক্রয় কমে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশে কিছু অংশ ক্রয় বাড়ছে। কিছু রপ্তানিকারক বলছেন, শুল্কের কারণে আগামী মৌসুমে অর্ডার বাড়ার আশার কথা। তবে কিছু ক্রেতা প্রতিষ্ঠান রপ্তানিকারকদের চাপ দিচ্ছে, যাতে তারা শুল্কের কিছু অংশ বহন করেন।

বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে চীন শীর্ষ স্থানে থাকা হলেও, চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে ভিয়েতনাম সেই অবস্থান দখল করে নিয়েছে। প্রথম সাত মাসে ভিয়েতনাম মোট ৯৪৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি। জুলাই মাসে তারা ১৬৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে, যার প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১২ শতাংশের বেশি।

চীন এখনো দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক, যেখানে এই সময়ে ৬৯২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ কম। জুলাই মাসে চীনের রপ্তানি ছিল ১১৯ কোটি ডলার, যা ৩৮ শতাংশ কম। এই দুর্বলতার মধ্যে চীনের অংশগ্রহণ কমে যাওয়া দেখা গেছে।

অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, ভারতের প্রথম সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩৩১ কোটি ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া এই সময়ে ২৬৭ কোটি ডলার পোশাক রপ্তানি করেছে, যেখানে প্রবৃদ্ধি এসেছে ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।

বাংলাদেশের অনেক উদ্যোক্তা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনবিরোধী বাণিজ্য নীতির কারণে চীন থেকে ক্রয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় চীনকে টার্গেট করে বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা বাংলাদেশে বেশি অর্ডার শুরু করেছেন। এর ফলে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি মহামারিতে বাড়ছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি, অনন্ত গ্রুপ, গত অর্থবছরে ছয়টি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে মোট ৪৬ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যমানের পোশাক রপ্তানি করেছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বিজয় থালাপতির বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের রপ্তানি ২২% বৃদ্ধি পেয়েছে

প্রকাশিতঃ ১০:৪৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গেল জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি এই বাজারে প্রায় ২২ শতাংশ বেড়েছে, যা দেশের শীর্ষ পাঁচ রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৪৯৮ কোটি ডলারের পোশাক পাঠানো হয়েছে, যা একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। এক্ষেত্রে জুলাই মাসে রপ্তানি ছিল ৭০ কোটি ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধির হার ৪.৯৭ শতাংশ।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) এর নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর প্রথম সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্র তিন হাজার পাঁচশত আটাশ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা গত বছরের একই সময় অপেক্ষা ৪.৯৬ শতাংশ বেশি।

৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের উপর পাল্টা শুল্কের হার সংশোধন করে, যা ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়। এই শুল্কহার অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম থেকে আসা পণ্যে ২০ শতাংশ, ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও পাকিস্তানের পণ্যে ১৯ শতাংশ এবং চীনকে ৩০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়।

তবে শুল্কের পরিবর্তন এবং চীন থেকে ক্রয় কমে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশে কিছু অংশ ক্রয় বাড়ছে। কিছু রপ্তানিকারক বলছেন, শুল্কের কারণে আগামী মৌসুমে অর্ডার বাড়ার আশার কথা। তবে কিছু ক্রেতা প্রতিষ্ঠান রপ্তানিকারকদের চাপ দিচ্ছে, যাতে তারা শুল্কের কিছু অংশ বহন করেন।

বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে চীন শীর্ষ স্থানে থাকা হলেও, চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে ভিয়েতনাম সেই অবস্থান দখল করে নিয়েছে। প্রথম সাত মাসে ভিয়েতনাম মোট ৯৪৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি। জুলাই মাসে তারা ১৬৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে, যার প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১২ শতাংশের বেশি।

চীন এখনো দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক, যেখানে এই সময়ে ৬৯২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ কম। জুলাই মাসে চীনের রপ্তানি ছিল ১১৯ কোটি ডলার, যা ৩৮ শতাংশ কম। এই দুর্বলতার মধ্যে চীনের অংশগ্রহণ কমে যাওয়া দেখা গেছে।

অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, ভারতের প্রথম সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩৩১ কোটি ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া এই সময়ে ২৬৭ কোটি ডলার পোশাক রপ্তানি করেছে, যেখানে প্রবৃদ্ধি এসেছে ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।

বাংলাদেশের অনেক উদ্যোক্তা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনবিরোধী বাণিজ্য নীতির কারণে চীন থেকে ক্রয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় চীনকে টার্গেট করে বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা বাংলাদেশে বেশি অর্ডার শুরু করেছেন। এর ফলে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি মহামারিতে বাড়ছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি, অনন্ত গ্রুপ, গত অর্থবছরে ছয়টি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে মোট ৪৬ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যমানের পোশাক রপ্তানি করেছে।