১১:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানাবে সরকারকে মতামত সমন্বয় করে: আলী রীয়াজ জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর হবে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের নতুন উদ্যোগ শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর

নওগাঁর মোমনিপুর হাটে প্রতি মাসে আড়াই কোটি টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি

নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরের মোমিনপুর বাজারে রয়েছে জেলার সবচেয়ে বড় কাঁচা মরিচের পাইকারী হাট। এই হাটে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম এখন ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা মাত্র দুই দিন আগে ছিল ১৩০-১৫০ টাকায়। দাম কমে যাওয়ায় অনেক কৃষক হতাশ হয়ে পড়েছেন, কারণ এর ফলে তাদের লোকসান হবে বলে ধারণা করছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের কাছ থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

গত শুক্রবার মহাদেবপুরের মোমিনপুর কাঁচা মরিচের হাটের দৃশ্য ছিল বেশ চিত্তাকর্ষক। প্রতিদিন এখানে হাট বসে, এবং সারা বছর ধরে এ কার্যক্রম চলে প্রায় ছয় থেকে সাত মাস। এই হাটে মাসে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার কাঁচা মরিচ কেনাবেচা হয়, যা দেশের বিভিন্ন শহর—ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম ও দিনাজপুরে সরবরাহ করা হয়।

মহাদেবপুরের কুঞ্জবন এলাকার কৃষক সোলেমান আলী ও গুলবর রহমান জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কাঁচা মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। তবে এখন দাম কমে যাওয়ায় তারা সংক্ষুব্ধ, কারণ এর ফলে উৎপাদন খরচও ওঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মরিচ চাষে অনেক খরচ হয়েছে, আর এখন, তারা বিক্রি করেছেন যা দিয়ে শ্রমিকের মজুরি, কীটনাশক ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে কিছুই অবশিষ্ট থাকছে না। প্রথমে কেজি প্রতি মরিচের দাম ছিল ১৩০-১৫০ টাকা, যা এখন ৬০-৭০ টাকায় নেমে এসেছে।

বগুড়া থেকে আসা কাঁচা মরিচের ব্যবসায়ী সুজন মিয়া বলেন, এই হাটের মরিচ দেশের বিভিন্ন শহরে যায়, তবে ভারতের কাছ থেকে মরিচের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ দাম পড়ে গেছে।

মোমিনপুর হাটের কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, এটি জেলায় সবচেয়ে বড় কাঁচা মরিচের হাট, যেখানে মাসে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার মরিচ বিক্রি হয়। কিন্তু এখন দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা বড় ধরনের লোকসানে পড়বেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আবহাওয়ার উন্নতি ও ফলনের ভালোহয়ে থাকায় প্রথমে বাজারে দাম ভালো ছিল। তবে এখন কিছুটা কমে আসায় কৃষকের লাভ জমে উঠবে বলে আশা করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, চলতি বছরে নওগাঁ জেলায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে। তারা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছেন যাতে তারা এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বিজয় থালাপতির বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ

নওগাঁর মোমনিপুর হাটে প্রতি মাসে আড়াই কোটি টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরের মোমিনপুর বাজারে রয়েছে জেলার সবচেয়ে বড় কাঁচা মরিচের পাইকারী হাট। এই হাটে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম এখন ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা মাত্র দুই দিন আগে ছিল ১৩০-১৫০ টাকায়। দাম কমে যাওয়ায় অনেক কৃষক হতাশ হয়ে পড়েছেন, কারণ এর ফলে তাদের লোকসান হবে বলে ধারণা করছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের কাছ থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

গত শুক্রবার মহাদেবপুরের মোমিনপুর কাঁচা মরিচের হাটের দৃশ্য ছিল বেশ চিত্তাকর্ষক। প্রতিদিন এখানে হাট বসে, এবং সারা বছর ধরে এ কার্যক্রম চলে প্রায় ছয় থেকে সাত মাস। এই হাটে মাসে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার কাঁচা মরিচ কেনাবেচা হয়, যা দেশের বিভিন্ন শহর—ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম ও দিনাজপুরে সরবরাহ করা হয়।

মহাদেবপুরের কুঞ্জবন এলাকার কৃষক সোলেমান আলী ও গুলবর রহমান জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কাঁচা মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। তবে এখন দাম কমে যাওয়ায় তারা সংক্ষুব্ধ, কারণ এর ফলে উৎপাদন খরচও ওঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মরিচ চাষে অনেক খরচ হয়েছে, আর এখন, তারা বিক্রি করেছেন যা দিয়ে শ্রমিকের মজুরি, কীটনাশক ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে কিছুই অবশিষ্ট থাকছে না। প্রথমে কেজি প্রতি মরিচের দাম ছিল ১৩০-১৫০ টাকা, যা এখন ৬০-৭০ টাকায় নেমে এসেছে।

বগুড়া থেকে আসা কাঁচা মরিচের ব্যবসায়ী সুজন মিয়া বলেন, এই হাটের মরিচ দেশের বিভিন্ন শহরে যায়, তবে ভারতের কাছ থেকে মরিচের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ দাম পড়ে গেছে।

মোমিনপুর হাটের কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, এটি জেলায় সবচেয়ে বড় কাঁচা মরিচের হাট, যেখানে মাসে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার মরিচ বিক্রি হয়। কিন্তু এখন দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা বড় ধরনের লোকসানে পড়বেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আবহাওয়ার উন্নতি ও ফলনের ভালোহয়ে থাকায় প্রথমে বাজারে দাম ভালো ছিল। তবে এখন কিছুটা কমে আসায় কৃষকের লাভ জমে উঠবে বলে আশা করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, চলতি বছরে নওগাঁ জেলায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে। তারা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছেন যাতে তারা এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন।