০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

নওগাঁর মোমনিপুর হাটে আড়াই কোটি টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় প্রতি মাসে

নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরের মোমনিপুর বাজারে দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি কাঁচা মরিচের হাট অবস্থিত। প্রতিদিন এখানকার বাজারে অনেক ব্যবসায়ী ও কৃষক জমজমাট বাণিজ্য করে থাকেন। এই হাটে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এর আগে মাত্র দু’দিন আগেই এই দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। হঠাৎ করে দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও হতাশার ছায়া নেমে এসেছে, কারণ এই দাম পতনের ফলে তাদের অনেক লোকসান হবে বলে আশঙ্কা করছেন। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এমন অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

গত শুক্রবার মহাদেবপুরের এই হাটের বিভিন্ন দৃশ্য হয়। সপ্তাহের প্রতিদিন এই হাট বসে সেখানে ব্যাপক ব্যবসা হয়। বছরে এই হাটটি মোট ৬ থেকে ৭ মাস পরিচালিত হয় এবং এই সময়ে এখানকার মরিচের মোট বেচাকেনা হয় দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার বেশি। এই মরিচ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়, যেমন ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, দিনাজপুরসহ অন্যান্য জেলাগুলো।

স্থানীয় কৃষক সোলেমান আলী ও গুলবর রহমান জানান, এই বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় কাঁচা মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। তবে এখন দাম কমে যাওয়ায় তারা মনে করেন, তাদের উৎপাদন খরচ এখনো উঠবে না। তারা বলেন, মরিচ চাষের জন্য অনেক খরচ হয়েছে, শ্রমিকের মজুরি, কীটনাশক ইত্যাদি বাদ দিলে যে আয় হবে, তাতে তাদের দাম উঠবে না। প্রথমে তারা এই মরিচ বিক্রি করেছিল ১৩০-১৫০ টাকা কেজি, এখন তা কমে এসে ৬০-৭০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বগুড়া থেকে আসা একজন ব্যবসায়ী সুজন মিয়া বলেন, এই হাটের মরিচ দেশজুড়ে বিভিন্ন শহরে বিতরণ হয়। তবে, সম্প্রতি ভারত থেকে মরিচের আমদানিতে বেড়ো থাকায় বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

মোমনিপুর হাটের কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ জানান, এই হাটটি নওগাঁর অন্যতম বড় এবং বছরে ৬-৭ মাস পরিচালিত হয়। প্রতি মাসে এই হাটে কাঁচা মরিচের ব্যবসা হয় দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার। তবে বর্তমানে দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের জন্য লোকসানের আশঙ্কা বাড়ছে।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আবহাওয়ার উন্নতি ও ফলনের ফল স্বরূপ এই বছর কাঁচা মরিচের উৎপাদন ভালো হয়েছে। প্রথমে বাজারের দামের ভালো জন্য কৃষকরা লাভবান হলেও এখন দাম কমে যাওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তিনি আরও জানান, নওগাঁ জেলায় এই বছর মোট ৭৫০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। কৃষকদের সাথে নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের পাশে থাকছি।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

নওগাঁর মোমনিপুর হাটে আড়াই কোটি টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় প্রতি মাসে

প্রকাশিতঃ ১০:৫০:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরের মোমনিপুর বাজারে দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি কাঁচা মরিচের হাট অবস্থিত। প্রতিদিন এখানকার বাজারে অনেক ব্যবসায়ী ও কৃষক জমজমাট বাণিজ্য করে থাকেন। এই হাটে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এর আগে মাত্র দু’দিন আগেই এই দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। হঠাৎ করে দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও হতাশার ছায়া নেমে এসেছে, কারণ এই দাম পতনের ফলে তাদের অনেক লোকসান হবে বলে আশঙ্কা করছেন। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এমন অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

গত শুক্রবার মহাদেবপুরের এই হাটের বিভিন্ন দৃশ্য হয়। সপ্তাহের প্রতিদিন এই হাট বসে সেখানে ব্যাপক ব্যবসা হয়। বছরে এই হাটটি মোট ৬ থেকে ৭ মাস পরিচালিত হয় এবং এই সময়ে এখানকার মরিচের মোট বেচাকেনা হয় দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার বেশি। এই মরিচ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়, যেমন ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, দিনাজপুরসহ অন্যান্য জেলাগুলো।

স্থানীয় কৃষক সোলেমান আলী ও গুলবর রহমান জানান, এই বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় কাঁচা মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। তবে এখন দাম কমে যাওয়ায় তারা মনে করেন, তাদের উৎপাদন খরচ এখনো উঠবে না। তারা বলেন, মরিচ চাষের জন্য অনেক খরচ হয়েছে, শ্রমিকের মজুরি, কীটনাশক ইত্যাদি বাদ দিলে যে আয় হবে, তাতে তাদের দাম উঠবে না। প্রথমে তারা এই মরিচ বিক্রি করেছিল ১৩০-১৫০ টাকা কেজি, এখন তা কমে এসে ৬০-৭০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বগুড়া থেকে আসা একজন ব্যবসায়ী সুজন মিয়া বলেন, এই হাটের মরিচ দেশজুড়ে বিভিন্ন শহরে বিতরণ হয়। তবে, সম্প্রতি ভারত থেকে মরিচের আমদানিতে বেড়ো থাকায় বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

মোমনিপুর হাটের কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ জানান, এই হাটটি নওগাঁর অন্যতম বড় এবং বছরে ৬-৭ মাস পরিচালিত হয়। প্রতি মাসে এই হাটে কাঁচা মরিচের ব্যবসা হয় দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার। তবে বর্তমানে দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের জন্য লোকসানের আশঙ্কা বাড়ছে।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আবহাওয়ার উন্নতি ও ফলনের ফল স্বরূপ এই বছর কাঁচা মরিচের উৎপাদন ভালো হয়েছে। প্রথমে বাজারের দামের ভালো জন্য কৃষকরা লাভবান হলেও এখন দাম কমে যাওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তিনি আরও জানান, নওগাঁ জেলায় এই বছর মোট ৭৫০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। কৃষকদের সাথে নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের পাশে থাকছি।