জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভিযোগ ও দাবি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, যেখানে তারা বলছেন, তারা নিম্নকক্ষে নয়, উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চাই। এই ব্যাপারে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, তাদের মূল লক্ষ্য হলো উচ্চকক্ষে পিআর কার্যকর করা, যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হয়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তারা জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন ইসলামিপন্থী দলদের সঙ্গে একই সঙ্গে আন্দোলনে নেই। এসব দল তারাই যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে, তাদের সঙ্গে এনসিপি সম্পৃক্ত নয়।
নাহিদ ইসলাম বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিং করেন। সেখানে তিনি বলেন, ৭ জুলাইয়ের সনদের জন্য আইনি ভিত্তির জন্য গণপরিষদের বিকল্প কেউ হতে পারে না। তিনি আরো জানান, তারা সবার সঙ্গে যৌথ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং অক্টোবরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে মাঠে ফিরবেন।
আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য প্রধান দলগুলোর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে নির্বাচনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি, তিনি নির্ভরযোগ্য বিশ্লেষণে বলেন, এনসিপি নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে এবং শাপলা প্রতীকের জন্য নির্বাচন কমিশন কোনো শক্ত কারণ দেখাতে পারেনি। তারা আশা করছেন, শাপলা প্রতীক পাবেন।
নাহিদ আরো বললেন, তারা শুধু উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চাই, যাতে নির্বাচন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় থাকে। তিনি জানান, জুলাই মাসের মধ্যে এই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, জোট ও গণপরিষদের বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। তারা বলছেন, স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানাচ্ছেন, কিছু আওয়ামী দোসর এখনো অবাধে কীট হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই তাদের আইনের আওতায় আনানোর জন্যও তারা দাবি জানিয়েছেন।
এসময় দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন, যেখানে সব পক্ষের সমন্বয় ও সুসংহত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।