০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শুধু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীներնই নন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও যারা ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক, তাঁরা সবাই নির্বাচনের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমীর খসরু স্পষ্ট করে বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নির্বাচনের আগে তাদের সব yatırım স্থগিত রেখেছেন। নির্বাচন শেষে তারা বাংলাদেশের বাজারে বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত আগ্রহী হবেন, কারণ নির্বাচন হলে তারা উৎসাহ পেয়ে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিবেন। তিনি বলেন, ‘একেবারে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নির্বাচনের না হওয়া পর্যন্ত তাদের কিছু সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে। ভবিষ্যতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের স্থাপনি হলে, একদিকে ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগে উৎসাহ দেখাবে, অন্যদিকে বিদেশিরাও তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকবেন।’ এই মন্তব্য তিনি গতকাল রোববার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের করেছেন, যেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের অন্যান্য নেতারা এবং ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, এই আলোচনা দুটো গুরুত্বপূর্ণ কারণের জন্য। এক, বাংলাদেশ এর লোডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ) এর গুরুত্বপূর্ণ দিক। দুই, শ্রম সংক্রান্ত কিছু বিষয়। তিনি উল্লেখ করেন, ব্যবসায়ীদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে, এবং বুঝতে পেরেছেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশে এখনো সম্পন্ন হয়নি। এটি ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যদি অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে চায়, তাহলে এই উত্তরণ কিছুসময় পিছিয়ে দেওয়া উচিত। জাতিসংঘের কাছে এর জন্য একটি চিঠি পাঠানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে, তৈরির পোশাকশিল্পের নেতারা জানান, বর্তমানে এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য অভিজ্ঞতা ও প্রস্তুতি এখনও পর্যাপ্ত নয়। বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমাদের প্রধান সরব কনসার্ন হলো এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের ডিফামেন্ট, এবং শ্রম আইনে কিছু সংশোধন। আমরা চাই, এই উত্তরণ সাময়িকভাবে তিন বছর পিছিয়ে দেওয়া হোক, যাতে আমাদের প্রস্তুতির সময় বেড়ে যায়। কারণ, এখনো আমরা এ পরিস্থিতির জন্য পূর্ণ প্রস্তুত নই। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, হা–মীম গ্রুপের এ কে আজাদ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের তপন চৌধুরী, এপেক্স ফুটওয়্যারের সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কামরান টি রাহমান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের আহসান খান চৌধুরী, ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকিন আহমেদ, নিট পোশাকশিল্পের বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি ফজলে শামীম এহসান এবং নেক্সাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন: আমীর খসরু

প্রকাশিতঃ ০২:০৮:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শুধু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীներնই নন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও যারা ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক, তাঁরা সবাই নির্বাচনের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমীর খসরু স্পষ্ট করে বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নির্বাচনের আগে তাদের সব yatırım স্থগিত রেখেছেন। নির্বাচন শেষে তারা বাংলাদেশের বাজারে বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত আগ্রহী হবেন, কারণ নির্বাচন হলে তারা উৎসাহ পেয়ে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিবেন। তিনি বলেন, ‘একেবারে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নির্বাচনের না হওয়া পর্যন্ত তাদের কিছু সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে। ভবিষ্যতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের স্থাপনি হলে, একদিকে ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগে উৎসাহ দেখাবে, অন্যদিকে বিদেশিরাও তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকবেন।’ এই মন্তব্য তিনি গতকাল রোববার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের করেছেন, যেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের অন্যান্য নেতারা এবং ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, এই আলোচনা দুটো গুরুত্বপূর্ণ কারণের জন্য। এক, বাংলাদেশ এর লোডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ) এর গুরুত্বপূর্ণ দিক। দুই, শ্রম সংক্রান্ত কিছু বিষয়। তিনি উল্লেখ করেন, ব্যবসায়ীদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে, এবং বুঝতে পেরেছেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশে এখনো সম্পন্ন হয়নি। এটি ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যদি অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে চায়, তাহলে এই উত্তরণ কিছুসময় পিছিয়ে দেওয়া উচিত। জাতিসংঘের কাছে এর জন্য একটি চিঠি পাঠানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে, তৈরির পোশাকশিল্পের নেতারা জানান, বর্তমানে এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য অভিজ্ঞতা ও প্রস্তুতি এখনও পর্যাপ্ত নয়। বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমাদের প্রধান সরব কনসার্ন হলো এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের ডিফামেন্ট, এবং শ্রম আইনে কিছু সংশোধন। আমরা চাই, এই উত্তরণ সাময়িকভাবে তিন বছর পিছিয়ে দেওয়া হোক, যাতে আমাদের প্রস্তুতির সময় বেড়ে যায়। কারণ, এখনো আমরা এ পরিস্থিতির জন্য পূর্ণ প্রস্তুত নই। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, হা–মীম গ্রুপের এ কে আজাদ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের তপন চৌধুরী, এপেক্স ফুটওয়্যারের সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কামরান টি রাহমান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের আহসান খান চৌধুরী, ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকিন আহমেদ, নিট পোশাকশিল্পের বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি ফজলে শামীম এহসান এবং নেক্সাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসেন।