ছয় বছর পর আবারও বাংলার ক্রিকেট প্রশাসনে ফিরলেন দেশের অন্যতম महान ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী। ভারতের সাবেক অধিনায়ককে এবার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত করা হয়েছে। গত শনিবার অনুষ্ঠিত সিএবির ৯৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
আগে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একই পদে থাকাকালীন তিনি বাংলার ক্রিকেটের উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। এই পুনর্নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি আবার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন, যা স্নেহাশিস গাঙ্গুলীর পর তার বড় ভাই হিসেবে দায়িত্ব সামাল দেবেন। টানা ছয় বছর hizmetের পর স্নেহাশিস গাঙ্গুলীকে পদ ছাড়তে হয়েছে।
নির্বাচিত হওয়ার পর সৌরভ গাঙ্গুলী এএনআই-কে বলেন, ‘আমি আগে পাঁচ বছর সিএবির সভাপতি ছিলাম। এবারও আমি আমাদের দলের সেরা সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করব। ভারতে ক্রিকেটের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে, প্রচুর প্রতিভাও উঁকি দিচ্ছে। সেই প্রতিভাগুলির সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য।’
২০১৯ সালে বিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে তিনি সিএবির দায়িত্বে ছিলেন। ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে তাকে আবারও আইসিসির পুরুষ ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে প্রথম এই পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
এশিয়া কাপে ভারতের সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর সৌরভ গাঙ্গুলী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অভিষেক শর্মার ৭৪ ও শুবমান গিলের ৪৭ রানে ভর করে ভারত ১৭২ রানের লক্ষ্য সফলভাবে পার করে জয়লাভ করে। তিনি বলেন, ‘ভারত অনেক শক্তিশালী দল। আমাদের জন্য এশিয়া কাপ জেতার সুযোগ উজ্জ্বল। আমরা আশাবাদী, ভালো খেলা চালিয়ে গেলে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।’
সেখানে পাশাপাশি, বিসিসিআই সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন করা সাবেক দিল্লি টেস্ট ক্রিকেটার মিঠুন মানহাসকেও সৌরভ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানাই। এই পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বপূর্ণ। বিশ্বের অন্যতম ধনী ও দক্ষ বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার মানে বিশাল দায়িত্ব। ভারতের ক্রিকেটাররা অসাধারণ প্রতিভাবান। তাদের সঠিকভাবে পরিচালনা ও গাইড করাটা কঠিন কাজ, তবে আমি বিশ্বাস করি, ও ও তার টিম খুব ভালোভাবে কাজ করবে।’