জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বক্তৃতায় বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের কার্যকারিতা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, জাতিসংঘের সফলতা খুবই সীমিত এবং এর সম্ভাবনাগুলো মূলত অপ্রকাশ্য। ট্রাম্প বলেন, বেশ কিছু সংঘর্ষে তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভূমিকা ছিল এবং তিনি দাবি করেন, তিনি সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করতে সমর্থ হয়েছেন; যদিও এর বেশিরভাগের জন্য তার রাজনৈতিক সমালোচনা קיימা।
ট্রাম্প আরও জানান, তিনি নিজেকে শান্তি নোবেল পুরস্কারের জন্য যোগ্য মনে করেন, কারণ তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বজুড়ে সংঘাত বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, জাতিসংঘের সদর দপ্তরে তার অভিজ্ঞতা ছিল হতাশাজনক, যেখানে তিনি একটি ভাঙা লিফট এবং অকার্যকর টেলিপ্রম্পটার পেয়েছেন।
তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন এবং বলেন, হামাসের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের স্বীকৃতি তার জন্য অপ্রত্যাশিত ক্ষতি ডেকে আনবে। পাশাপাশি, এই ঘোষণা গাজার যুদ্ধের দুই বছর পর একটি গুরুত্বপূর্ণ 변화 নিয়ে এসেছে, যেখানে বেশ কয়েকটি দেশ, যেমন সৌদি আরব, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মোনাকো এবং বেলজিয়াম, ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি দিয়েছে। ট্রাম্প মনে করেন, এই ধরণের পদক্ষেপ শুধু সহিংসতা বাড়াবে এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রধান অর্থদাতা হিসেবে চীন ও ভারতে উল্লেখ করে, তারা রাশিয়ার তেল ক্রয়ে অব্যাহত রেখেছে যা অপ্রত্যাশিত। তিনি ন্যাটো দেশের সমালোচনা করে বলেন, অনেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে নারাজ। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, রাশিয়া যদি শান্তি চুক্তিতে না আসে তাহলে তা কঠোর শুল্ক আরোপের কারণ হবে, যাতে দ্রুত যুদ্ধ শেষ হয়।
অন্তর্বর্তীভাবে, ট্রাম্প তাঁর দেশের বর্তমান উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, এক বছর আগে সে সময় দেশের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল, কিন্তু এখন এটি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ। তিনি দাবি করেন, তাঁর শাসনামলে তিনি সংঘাত শুরুর অনেক যুদ্ধ বন্ধ করেছেন, যেমন ইসরায়েল ও ইরান, পাকিস্তান ও ভারত, রুয়ান্ডা ও গণতান্ত্রিক কঙ্গো, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান, মিশর ও ইথিওপিয়া এবং সার্বিয়া ও কসোভোতে সংঘাতের অবসান ঘটানো হয়েছে।
বিশ্লেষণমূলকভাবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণটি শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জাতিসংঘের অকার্যকারিতার বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ এবং নিজের ক্ষমতার প্রতি আত্মপ্রশংসার মিশ্রণে পূর্ণ। পাশাপাশি, তিনি ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।