পাকistan ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নতুন একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেট মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাদের সব ধরনের বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে ও অংশগ্রহণের জন্য দেয়া অনাপত্তিপত্র (এনওসি) আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে কি কারণ রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট বা প্রকাশপূর্বক ব্যাখ্যা দেয়নি পিসিবি।
পিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সুমাইর আহমেদ সৈয়দ সোমবার একটি নোটিশ মাধ্যমে এই খবর জানিয়েছেন। সেই নোটিশে বলা হয়, ‘পিসিবি চেয়ারম্যানের অনুমোদনের উপরে নির্ভর করে, বিদেশি লিগ ও টুর্নামেন্টে অংশ নিতে খেলোয়াড়রা যে সব এনওসি পেতেন, তা এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।’
এই অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ কি সম্ভব, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ইএসপিএন-ক্রিকইনফোকে পিসিবির কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, বোর্ডটি একটি পারফরম্যান্সভিত্তিক নতুন নীতিমালা তৈরি করছে, যেটির ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে এনওসি প্রদান করা হবে। এর মূল উদ্দেশ্য, পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা যেন বিদেশি লিগের চেয়ে জাতীয় দলের জন্য বেশি মনোযোগী ও সেরকমভাবে পারফর্ম করেন। তবে এই নীতিমালার অচিরেই কার্যকর হবে কিনা বা কবে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, সে বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত ধারণা প্রকাশ করা হয়নি।
এই সিদ্ধান্তের ফলে বেশ কিছু ক্রিকেটারের জন্য উদ্বেগ ও ভাবনায় পড়েছেন। বিশেষ করে, আগামী ডিসেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হতে যাওয়া বিগব্যাশ লিগে (বিবিএল) বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন আফ্রিদিসহ মোট সাত পাকিস্তানি ক্রিকেটার অপেক্ষায় ছিলেন। এছাড়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএলটি-টোয়েন্টি লিগের নিলামের জন্যও ১৮ পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের তালিকা প্রস্তুত ছিল, যার মধ্যে নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব ও ফখর জামানও রয়েছেন। নির্ধারিত এই লিগ ও টুর্নামেন্টগুলো থেকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দুর্বলতা বা মিস করার সম্ভাবনা এখন দেখছে সবাই, যা দেশীয় ক্রিকেটের জন্য এক বড় ক্ষতি বলে মনে করা হচ্ছে।