পাবনার ঈশ্বরদীতে রবিবার সকালে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সবুজ প্রামানিক নামে এক ট্রাকচালক ঘটনাস্থলে মৃত্যু বরণ করেছেন। এই দুর্ঘটনায় আরো তিনজন আহত হয়েছেন। ঘটনার সময়সীমা অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের অরণকোলা হারুখালী মাঠসংলগ্ন তারাপুর বটতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সবুজ প্রামানিক সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের টেবুনিয়া বড়মাটিয়া গ্রামের খোকন প্রামানিকের ছেলে। আহতরা হলেন ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার চুকাই গ্রামের নাজমুল হোসেন (৩০), একই উপজেলার কৃষ্টপুর গ্রামের বাবু মিয়া (৩০), ও মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার আশরাফুল ইসলাম (৩৫)।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খবর পাওয়ার সাথে সাথে সকাল ৬:৪০ মিনিটে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। करीब এক ঘণ্টা ধরে উদ্ধার কাজ চালানোর পরে সকাল ৭:৫৫ মিনিটে তা শেষ হয়। এই কার্যক্রমের নেতৃত্বে ছিলেন স্টেশনটির ওয়ারহাউজ ইনস্পেক্টর মীর আমিরুল ইসলাম।
এনিয়ে জানা গেছে, ঈশ্বরদী ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি খালি ট্রাক পাবনাগামী ছিল। তখন ঢাকা থেকে আসা একটি পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীতমুখী ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ট্রাক চালক সবুজ প্রামানিক ঘটনাস্থলে মারা যান এবং অন্য ট্রাকের চালক ও হেলপারসহ আরও তিনজন আহত হন। ধানখেতের মধ্যে পড়ে থাকা ও সকলকে উদ্ধার করে আহতদেরকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। নিহতের মরদেহ ট্রাকের ভেতর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ হস্তান্তর করে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আব্দুন নূর জানান, ‘দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকচালক মারা যান এবং তিনজন আহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’ তিনিও আরও বলেন, এই ঘটনাটি সড়ক দুর্ঘটনায় সংঘটিত হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই অংশের রাস্তা (পাবনা-লালপুর হাইওয়ে) অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ। অতিরিক্ত যানজট, গতি নিয়ন্ত্রণের মানদণ্ডের অভাব এবং সাধারণত চালকদের অসচেতনতা এ ধরনের দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে বলে এখানকার জনতারা মনে করেন।