নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) তাদের মার্কা বাছাইয়ের জন্য ৫০টি প্রতীক অভিন্নভাবে নির্ধারণ করে দিয়েছে। ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন সহায়তা শাখার উপ-সচিব মো. রফিকুল ইসলাম দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে ইসির দেওয়া তালিকায় শাপলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, এনসিপি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, যা প্রাথমিকভাবে বিবেচিত হয়েছে। আবেদনে একাধিক প্রতীকের নামে পছন্দের ক্রম উল্লেখ করা হয়—প্রথমে শাপলা, পর thereafter কলম ও মোবাইল ফোন। তবে পরে আবেদনে শাপলার পরিবর্তে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলার বিকল্প দেওয়া হয়। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী প্রার্থীকে শাপলাকে প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ নেই।
নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী, কোনও দল তাদের মনোনীত সকল প্রার্থীর জন্য নির্ধারিত প্রতীকের মধ্যে থেকে একটি পছন্দ করতে পারে। যদি তারা পরবর্তীতে অন্য কোনও প্রতীকে পরিবর্তন করতে চায়, তাহলে সেটার জন্য আবেদন করতে হবে। এর মাধ্যমে দলের জন্য নির্ধারিত প্রতীক বরাদ্দ করা হয় এবং যদি দলটি কোনো অন্য প্রতীকে পরিবর্তন করতে চায়, তাহলে তা করতে পারবে। এই জন্য, এনসিপিকে আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে যে, তারা যে ৫০টি প্রতীকের তালিকা থেকে তাদের পছন্দের প্রতীক নির্বাচন করেনি।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের মতে, এনসিপি প্রথমে শাপলা, কলম ও মোবাইল ফোনের মধ্যে যেকোনো একটি প্রতীকের জন্য আবেদন জানিয়েছিল। কিছু দিনের মধ্যে তারা এই আবেদন সংশোধন করে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলার মধ্যে পছন্দের প্রার্থনা করে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইসি সচিব জানান, এনসিপি শাপলা প্রতীকের জন্য নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। কারণ, ১১৫টি প্রতীকের তালিকা অনুযায়ী শাপলা তালিকায় ছিল না। নিয়ম হল, সংরক্ষিত প্রতীক তালিকা থেকে যেকোনো একটি নির্বাচন করতে হবে। শাপলা থাকলেও তা সরাসরি দেওয়া সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, ২২ সেপ্টেম্বর এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, তারা এখনও শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা চায়। বলে থাকেন, তারা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন না। এই প্রতীক দ্বারা তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে বলে জানান।