ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে হংকং চায়না ১৪৬তম অবস্থানে রয়েছে। তাদের তুলনায় বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ১৮৮, যা বাংলাদেশের চেয়ে ৩৮ ধাপ পিছিয়ে। এই তফাতই বোঝাচ্ছে, হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দলের তুলনায় কতটা উন্নত হংকং। তবে, র্যাঙ্কিং শুধুই একটি সংখ্যা হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা, যেমন মিতুল মারমা ও সোহেল রানা। ৯ অক্টোবর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
গত সোমবার থেকে ফুটবল দলের ক্যাম্প শুরু হলেও, বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবারের প্রথম অনুশীলন পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। ততক্ষণে মাঠে প্রবল বৃষ্টি হয়ে যাওয়ায় প্রস্তুতি কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে, এই পরিস্থিতির মধ্যেও নিজেদের প্রস্তুতি ও লক্ষ্য নিয়ে কথা বলছিলেন মিতুল মারমা, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। হাতে যেসব সময় আছে, সবাই চেষ্টা করছে নিজেদের উন্নয়ন করতে। কোয়ালিফাই করতে হলে এই দুটো ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা র্যাঙ্কিংয়ে দেখার পরিবর্তে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করছি।’
চোটের কারণে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলতে পারেননি মিতুল মারমা। বর্তমান দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ার কারণে তিনি বললেন, ‘দলের সবাই খুবই প্রতিযোগিতা মূলক। এখানে কেউ অবহেলা করার সুযোগ নেই। প্রতিটি খেলোয়াড়ই নিজের সর্বোচ্চ দিতে চেষ্টা করছে। আমি পুরো মনোযোগ দিয়ে দুই ম্যাচে পয়েন্ট আনার দিকে নজর দিব। হোম ম্যাচ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই এ দুটি ম্যাচে ফলাফল যে কোনও মূল্যে জেতার প্রত্যাশা রয়েছে।’
বাছাই পর্বের গ্রুপ সি’তে বাংলাদেশ দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা অবস্থায়, হংকং চায়না ৪ পয়েন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জন্য দুটো লেগেই হংকংয়ের বিরুদ্ধে জয়াধ্যেষ্ঠতা দরকার।
সোহেল রানা ঘরের মাঠের ম্যাচ নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, ‘আমরা দেশের জন্য ফল উপহার দিতে পারব বলে বিশ্বাস করি। কোচ এই বিষয়ে কঠোর পরিশ্রম করছেন। যেখানে হংকংয়ের বিপক্ষে জিততে হবে, সেটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটি ঘরের মাঠে হলেও, আমাদের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। মাঠে যখন তারা থাকবে, দর্শকদের সমর্থন তখন বড় প্রেরণা হয়ে উঠবে।’
শক্তির বিচারে হংকং এগিয়ে থাকলেও, সোহেল রানার বিশ্বাস, বাংলাদেশের দল জিততে পারে, ‘যদি আমাদের নিজেদের কাজগুলো সঠিকভাবে না করি, তাহলে আমাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হবে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমরা হংকংয়ের বিরুদ্ধে জিততে পারব।’
ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। বিকাল ৩০ মিনিটের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় ১৮ হাজার টিকিট, যা দর্শকদের উপস্থিতির প্রমাণ। নিজেরাই মাঠে খেলতে নামার প্রতিজ্ঞা রাখেন সোহেল রানা, ‘সাধারণ গ্যালারির এত বেশি টিকিট বিক্রি হওয়া ফুটবলের জন্য ইতিবাচক। এর মাধ্যমে আমাদের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ স্পষ্ট। এইভাবে আমরা আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়ে উঠব। আগের মতো সিঙ্গাপুরের ম্যাচের মতো পরিস্থিতি যেন না হয়, সেটি অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য।’