বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের উপর তার জন্মের পর থেকে চেহারায় কিছু পরিবর্তন এসেছিল। প্রিয় অভিনেত্রীর ওজন খানিকটা বেড়ে যাওয়ায় তার অনেকে মনে করেছিলেন, সেই চেহারায় ফিরে তাকানো সম্ভব নয়। তবে কিছু মাসের মধ্যে তিনি নিজেকে আবার তাল মিলিয়ে গড়ে তুলেছেন এবং এখন একদম ছিপছিপে, সুগঠিত দেখাচ্ছেন। আজকের আলিয়া শুধু মেদবিহীনই নন, বরং তার রূপ যেন আগের চেয়েও বেশি প্রাণবন্ত এবং সুন্দর। চোখে পড়ার মতো পরিবর্তনটি তার নিজস্ব চেষ্টা ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের ফলে সম্ভব হয়েছে।
মেয়ের জন্মের পরে আলিয়া কয়েক কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছিল। এর জন্য তিনি শরীরচর্চা ও সুস্থ জীবনধারার অভ্যাসের পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু খাবার গ্রহণ শুরু করেন। সেই সুখবর তিনি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি বলছেন, ২০২০ সাল থেকে তিনি ভিগান খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করছেন। বেশিরভাগ সময় পেট খানিকটা খালি থাকেন না, ২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর পুষ্টিকর খাবার খান। তাঁর পছন্দের খাবারে থাকে বিভিন্ন সবজি, ফলমূল, যা প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। নিয়মিত শরীরচর্চা ও সুষম খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে তিনি নিজের গড়ন ধরে রেখেছেন।
আজ আমরা আপনাদের জন্য আলিয়া ভাটের দুটি প্রিয় খাবারের রেসিপি তুলে ধরছি, যা অনুসরণ করলে আপনি দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন।
১. বিট সালাদ:
উপকরণ: ছোট ছোট টুকরো করে নেওয়া বিটরুট, দই, গোলমরিচ, চাট মসলা, কালো সর্ষে, গোটা জিরা, ধনেপাতা, কারিপাতা ও এক চিমটে হিং।
প্রণালি: এক পাত্রে কুচিয়ে নেওয়া বিট, দই, চাট মসলা, ধনেপাতা, গোলমরিচ ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। অন্য একটি প্যানে এক চামুচ তেল গরম করে গোটা জিরা, সর্ষে, কারিপাতা ও হিং ফোড়ন দিন। তারপর আঁচ কমিয়ে নাড়াচাড়া করে সেটি বিট মিশ্রণে ঢেলে দিন। এই সালাদ খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর, নিয়মিত খেলে শরীরে ফাইবার ও প্রোবায়োটিকের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং ওজন কমতে শুরু করে।
২. স্কোয়াশে সবজি:
উপকরণ: টুকরো করে নেওয়া স্কোয়াশ, কালো সর্ষে, কারিপাতা, ধনে পাতা, কাঁচালঙ্কা কুচি, হিং, ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, আমচুর পাউডার ও কোকানো নারিকেল।
প্রণালি: প্রথমে একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে কারিপাতা, লঙ্কা এবং হিং ফোড়ন দিন। এরপর ছোট ছোট টুকরো করে কাটা স্কোয়াশ দিয়ে স্বাদমতো লবণ দিতে হবে। ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করে রেখে দিন। এরপর ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া ও আমচুর পাউডার দিয়ে নেড়েচেড়ে দিন। এরপর ঢেকে দিন এবং কিছু.time বসিয়ে দিন। শেষে নারিকেল কুরো ও ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। নিয়মিত এই व्यঞ্জন খেলে শরীরে দ্রুত ওজন কমে, সুস্থতা বৃদ্ধি পায়।