০২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

নিলামে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার কেনাকাটা কমেছে, আন্তঃব্যাংক লেনদেন শনাক্ত

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগস্ট মাসে ডলার কেনাকাটা অনেকটা কমে গেছে। এসময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কেনা কমে যাওয়ায় আন্তঃব্যাংক লেনদেনের পরিমাণও হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ‘এক্সচেঞ্জ রেট ও ফরেইন এক্সচেঞ্জ মার্কেট ডাইনামিকস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে সোয়াপ ও স্পট ইন্টারব্যাংক লেনদেন উভয়ই কমেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগস্টে দৈনিক গড় স্পট লেনদেন গোল দাড়ায় ৩৩.২৩ মিলিয়ন ডলার, যা জুনের তুলনায় কম। সেই সময়টা ছিল ৪০.৭৫ মিলিয়ন ডলার। একইভাবে, সোয়াপ লেনদেনও কমে এসেছে, আগস্টে দৈনিক গড় সোয়াপ লেনদেন পড়ে ৭৭.৪ মিলিয়ন ডলারে, যেখানে জুলাইয়ে ছিল ৮৬.৯৪ মিলিয়ন ডলার। জুনে স্পট লেনদেন ছিল ৬৮.৭০ মিলিয়ন ডলার, আর সোয়াপ ছিল ১১৩.৫০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্টে বাজার থেকে মোট ৪৫৪ মিলিয়ন ডলার ডলার কিনেছে, যা টাকার বিপরীতে ডলার মূল্যায়ন রোধ করতে সহযোগিতা করে। মাস শেষে, আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার নির্ধারিত হয় ১ ডলার সমান ১২১ টাকা ৬৯ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘নিলামের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার না কিনলে ব্যাংকগুলো ইন্টারব্যাংকে বিক্রি করত। এখন, সেই ডলার রিজার্ভে যোগ হচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক।’ চলতি বছরের জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিতভাবে নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনছে। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলো ডলার জমা দেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে, ফলে দাম অস্থিতিশীল হয়নি। এর ফলে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কিনে মূল্য রাখতে পেরেছে, যা এখন একটি stable exchange rate ধরে রাখতে সাহায্য করছে। জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মোট ১.৮৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছে। ব্যাংকিং sector এ ডলারের চাহিদা কমার পেছনে মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, আমদানির এলসি পেমেন্ট কম থাকা এবং রেপো সুবিধার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর তহবিলের যোগান। এর ফলে, ব্যাংকগুলোতে তহবিলের চাপ অনেকটাই কমে এসেছে, যা ইন্টারব্যাংক লেনদেনের হ্রাসে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

নিলামে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার কেনাকাটা কমেছে, আন্তঃব্যাংক লেনদেন শনাক্ত

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগস্ট মাসে ডলার কেনাকাটা অনেকটা কমে গেছে। এসময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কেনা কমে যাওয়ায় আন্তঃব্যাংক লেনদেনের পরিমাণও হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ‘এক্সচেঞ্জ রেট ও ফরেইন এক্সচেঞ্জ মার্কেট ডাইনামিকস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে সোয়াপ ও স্পট ইন্টারব্যাংক লেনদেন উভয়ই কমেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগস্টে দৈনিক গড় স্পট লেনদেন গোল দাড়ায় ৩৩.২৩ মিলিয়ন ডলার, যা জুনের তুলনায় কম। সেই সময়টা ছিল ৪০.৭৫ মিলিয়ন ডলার। একইভাবে, সোয়াপ লেনদেনও কমে এসেছে, আগস্টে দৈনিক গড় সোয়াপ লেনদেন পড়ে ৭৭.৪ মিলিয়ন ডলারে, যেখানে জুলাইয়ে ছিল ৮৬.৯৪ মিলিয়ন ডলার। জুনে স্পট লেনদেন ছিল ৬৮.৭০ মিলিয়ন ডলার, আর সোয়াপ ছিল ১১৩.৫০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্টে বাজার থেকে মোট ৪৫৪ মিলিয়ন ডলার ডলার কিনেছে, যা টাকার বিপরীতে ডলার মূল্যায়ন রোধ করতে সহযোগিতা করে। মাস শেষে, আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার নির্ধারিত হয় ১ ডলার সমান ১২১ টাকা ৬৯ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘নিলামের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার না কিনলে ব্যাংকগুলো ইন্টারব্যাংকে বিক্রি করত। এখন, সেই ডলার রিজার্ভে যোগ হচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক।’ চলতি বছরের জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিতভাবে নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনছে। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলো ডলার জমা দেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে, ফলে দাম অস্থিতিশীল হয়নি। এর ফলে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কিনে মূল্য রাখতে পেরেছে, যা এখন একটি stable exchange rate ধরে রাখতে সাহায্য করছে। জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মোট ১.৮৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছে। ব্যাংকিং sector এ ডলারের চাহিদা কমার পেছনে মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, আমদানির এলসি পেমেন্ট কম থাকা এবং রেপো সুবিধার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর তহবিলের যোগান। এর ফলে, ব্যাংকগুলোতে তহবিলের চাপ অনেকটাই কমে এসেছে, যা ইন্টারব্যাংক লেনদেনের হ্রাসে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করছে।