০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ শুরু

দেশের বিভিন্ন জেলায় গবাদি পশুর মধ্যে অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সেটি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দ্রুত ও শক্তিশালী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অ্যানথ্রাক্স একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত জুনোটিক রোগ, যা গবাদি পশু থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে, তাই এর বিস্তার রোধে এটি অত্যন্ত জরুরি। এর প্রভাবমূলক পর্যবেক্ষণ ও মোকাবেলা করতে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দফতর, স্থানীয় প্রশাসন, এবং স্বাস্থ্য বিভাগ একযোগে কাজ করছে। তারা বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, যেমন গবাদি পশুর টিকাদান, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, উঠান বৈঠক, পথসভা, লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো, আক্রান্ত এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণ এবং অসুস্থ পশু জবাই থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, মৃত পশুকে খোলা বা পানিতে ছেড়ে না দিয়ে গভীরভাবে মাটিচাপা দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জনসচেতনতা তোলার জন্য দেশের বৃহত্তর গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে রংপুর ও গাইবান্ধা জেলাকে অ্যানথ্রাক্সপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে দ্রুত টিকাদান কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। এলআরআই (উপশম গবেষণা প্রতিষ্ঠান) এই দুটি জেলায় প্রায় ২০ লাখ অ্যানথ্রাক্সের টিকা সরবরাহ করবে। রংপুরে ছয়টি উপজেলার নয়টি এলাকায় মোট ১ লাখ ৬৭ হাজার গবাদি পশুকে এ টিকা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জেলার মোট ৩৬টি কসাইখানা ও গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাদানে জন্য স্বতন্ত্র মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। গাইবান্ধা জেলাও এই কর্মসূচির আওতায় রয়েছে, যেখানে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৬ হাজার ৪০০ গরুকে টিকা দেয়া হয়েছে। আক্রান্ত এলাকাগুলোতে দ্রুত প্রতিরোধের জন্য মৃত গরু পুঁতেছেন, মাইকিং, উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণ চালানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার জন্য মোবাইল কোর্ট দিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের অ্যানথ্রাক্স রোগের বিস্তার রোধে এক গুরুত্বপূর্ণ, সমন্বিত ও কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হচ্ছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ শুরু

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

দেশের বিভিন্ন জেলায় গবাদি পশুর মধ্যে অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সেটি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দ্রুত ও শক্তিশালী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অ্যানথ্রাক্স একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত জুনোটিক রোগ, যা গবাদি পশু থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে, তাই এর বিস্তার রোধে এটি অত্যন্ত জরুরি। এর প্রভাবমূলক পর্যবেক্ষণ ও মোকাবেলা করতে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দফতর, স্থানীয় প্রশাসন, এবং স্বাস্থ্য বিভাগ একযোগে কাজ করছে। তারা বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, যেমন গবাদি পশুর টিকাদান, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, উঠান বৈঠক, পথসভা, লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো, আক্রান্ত এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণ এবং অসুস্থ পশু জবাই থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, মৃত পশুকে খোলা বা পানিতে ছেড়ে না দিয়ে গভীরভাবে মাটিচাপা দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জনসচেতনতা তোলার জন্য দেশের বৃহত্তর গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে রংপুর ও গাইবান্ধা জেলাকে অ্যানথ্রাক্সপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে দ্রুত টিকাদান কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। এলআরআই (উপশম গবেষণা প্রতিষ্ঠান) এই দুটি জেলায় প্রায় ২০ লাখ অ্যানথ্রাক্সের টিকা সরবরাহ করবে। রংপুরে ছয়টি উপজেলার নয়টি এলাকায় মোট ১ লাখ ৬৭ হাজার গবাদি পশুকে এ টিকা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জেলার মোট ৩৬টি কসাইখানা ও গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাদানে জন্য স্বতন্ত্র মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। গাইবান্ধা জেলাও এই কর্মসূচির আওতায় রয়েছে, যেখানে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৬ হাজার ৪০০ গরুকে টিকা দেয়া হয়েছে। আক্রান্ত এলাকাগুলোতে দ্রুত প্রতিরোধের জন্য মৃত গরু পুঁতেছেন, মাইকিং, উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণ চালানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার জন্য মোবাইল কোর্ট দিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের অ্যানথ্রাক্স রোগের বিস্তার রোধে এক গুরুত্বপূর্ণ, সমন্বিত ও কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হচ্ছে।