১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

ফ্যারুক: স্বৈরাচারের দোসররা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, স্বৈরাচারী ও প্রতিশ্রুতিশীল শক্তির দোসররা এখনো দেশের গণতান্ত্রিক процесকে ব্যাহত করার জন্য হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি এই মন্তব্য করেন রবিবার, জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নতুন কমিটির নির্বাচন শেষে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, জিয়ারত ও ফাতেহ পাঠ অনুষ্ঠানে।

ফারুক বলেন, দেশের স্বৈরাচারী সরকার ভয়ঙ্করভাবে প্রকাশনা ও শিক্ষাক্ষেত্রকে ধ্বংস করেছে। তারা বই প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেক বাধা সৃষ্টি করেছে, এতটাই যে প্রকাশকদের কলকাতা থেকে পাঠাতে হয় তাদের বই। সত্যতা প্রকাশের সাহস দিত না ক্ষমতাসীনরা। পাঠ্যপুস্তকেও তারা স্বৈরাচারী কায়দায় জাতীয়তাকে বিকৃত করে তুলে ধরেছে। গত ১৬ বছরে এই বিকৃতি ও দমন-পীড়নের সত্যতা জনগণ দেখেছেন।

নবনির্বাচিত কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, দেশপ্রেম ও গণতন্ত্রের স্বার্থে যেন এখন থেকে এ কমিটি নিজেদের প্রকাশনা ও ভাষণ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে। অতীতের মতো স্বৈরাচারী কায়দায় তাদের প্রকাশনা ও আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। গণতন্ত্রের চর্চা চালু রাখতে হবে, সত্যিকার ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে হবে।

ফারুক আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, স্বৈরাচারী শাসন পালিয়েছে, কিন্তু তার প্রেতাত্মারা নির্বাচন আলোকিত করতে বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে। তিনি সবাইকে এই সংগ্রামে সরকারের সহযোগিতার আহ্বান জানান।

নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে দোয়া ও পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য এসেছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি। সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার উল্লেখ করেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের মুক্তচিনতাকে গলা টিপে হত্যা করেছে ফ্যাসিবাদী সরকার। তারা ইতিহাস বিকৃত করে, স্বাধীনতার মূল সত্যকে অস্বীকার করে, এবং বাংলাদেশের বইগুলো কলকাতা থেকে আমদানি করে শিল্পকে ধ্বংস করছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তিশীলতা অর্জনের জন্য জাতীয়তাবাদী প্রকাশকদের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের সত্যতা তুলে ধরার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের পতাকা উঁচু রাখতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি আবু সালেহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর, সংগঠনের সহ-সভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল, অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রকাশনী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। সংগঠনের সদস্যরা এ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের মুক্তচিন্তাকে নতুন করে জাগরণে উজ্জীবিত করবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

ফ্যারুক: স্বৈরাচারের দোসররা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে

প্রকাশিতঃ ১১:৪৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, স্বৈরাচারী ও প্রতিশ্রুতিশীল শক্তির দোসররা এখনো দেশের গণতান্ত্রিক процесকে ব্যাহত করার জন্য হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি এই মন্তব্য করেন রবিবার, জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নতুন কমিটির নির্বাচন শেষে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, জিয়ারত ও ফাতেহ পাঠ অনুষ্ঠানে।

ফারুক বলেন, দেশের স্বৈরাচারী সরকার ভয়ঙ্করভাবে প্রকাশনা ও শিক্ষাক্ষেত্রকে ধ্বংস করেছে। তারা বই প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেক বাধা সৃষ্টি করেছে, এতটাই যে প্রকাশকদের কলকাতা থেকে পাঠাতে হয় তাদের বই। সত্যতা প্রকাশের সাহস দিত না ক্ষমতাসীনরা। পাঠ্যপুস্তকেও তারা স্বৈরাচারী কায়দায় জাতীয়তাকে বিকৃত করে তুলে ধরেছে। গত ১৬ বছরে এই বিকৃতি ও দমন-পীড়নের সত্যতা জনগণ দেখেছেন।

নবনির্বাচিত কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, দেশপ্রেম ও গণতন্ত্রের স্বার্থে যেন এখন থেকে এ কমিটি নিজেদের প্রকাশনা ও ভাষণ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে। অতীতের মতো স্বৈরাচারী কায়দায় তাদের প্রকাশনা ও আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। গণতন্ত্রের চর্চা চালু রাখতে হবে, সত্যিকার ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে হবে।

ফারুক আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, স্বৈরাচারী শাসন পালিয়েছে, কিন্তু তার প্রেতাত্মারা নির্বাচন আলোকিত করতে বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে। তিনি সবাইকে এই সংগ্রামে সরকারের সহযোগিতার আহ্বান জানান।

নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে দোয়া ও পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য এসেছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি। সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার উল্লেখ করেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের মুক্তচিনতাকে গলা টিপে হত্যা করেছে ফ্যাসিবাদী সরকার। তারা ইতিহাস বিকৃত করে, স্বাধীনতার মূল সত্যকে অস্বীকার করে, এবং বাংলাদেশের বইগুলো কলকাতা থেকে আমদানি করে শিল্পকে ধ্বংস করছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তিশীলতা অর্জনের জন্য জাতীয়তাবাদী প্রকাশকদের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের সত্যতা তুলে ধরার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের পতাকা উঁচু রাখতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি আবু সালেহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর, সংগঠনের সহ-সভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল, অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রকাশনী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। সংগঠনের সদস্যরা এ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের মুক্তচিন্তাকে নতুন করে জাগরণে উজ্জীবিত করবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।