০১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
নবীনগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা-গুলিবর্ষণে নিহত ১, আহত ৩ নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত বিষয়ক দ্বিতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের পরে তাবলিগের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে সরকার আশাবাদী সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে, ইসি আনোয়ারের দাবি সমাজ-রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়: রুহুল কবির রিজভী সারাদেশে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, শীর্ষ ইসরাইলি জেনারেলের পদত্যাগ ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে ভারতীয় ৬০ বস্তা ফুসকা ও ব্লেড সহ ৪ জন আটক কুলাউড়া সীমান্তে ১৩ ভারতীয় গরু আটক বিজিবির সীমান্তে আরাকান আর্মির পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে নিহত নায়েক আক্তার হোসেনের দাফন সম্পন্ন

রেললাইনে হাঁটু পানি, ২ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস

রাতের প্রবল বর্ষণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা এবং রেললাইনগুলোতে পানি জমে থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে ছেড়ে গেছে। এর ফলে বহু যাত্রী গভীর দুর্ভোগে পড়েছেন।

সাধারণত সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, তার আগেই রেললাইনে হাঁটুসমান পানি জমে থাকার কারণে রেল কর্তৃপক্ষ এটি স্থানান্তর করে সকাল ৮:১৫ মিনিটে। এই বিলম্বের কারণে যাত্রীরা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন।

আব্দুল হামিদ নামে একজন যাত্রী বলেন, আমি ঢাকায় বিকেল ৩টায় একটি ব্যাংকের চাকরির পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি। কিন্তু ট্রেনটি দেরিতে ছাড়ায় আমার সময় যেন অনির্দিষ্ট হয়ে গেছে। এটা আমাদের সব যাত্রীদের জন্য খুবই কষ্টকর। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য আহ্বান জানান।

আরেক যাত্রী আবু সাঈদ বলেন, আমার মায়ের অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসার জন্য আমি ঢাকায় যাচ্ছি। কিন্তু রেললাইন জুড়ে ছোটাছুটি চলছে, বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে ট্রেন দেরিতে ছেড়ে গেছে। রাতভর প্রবল বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীদের অনেক ধরণের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শহিদুল আলম জানান, রাতভর ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ায় শুধুমাত্র রেললাইনে হাঁটু পানি জমে গেছে না, বরং রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন রুটেও পানি জমেছে। এই কারণেই ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে না পারা।

অপর দিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তোফিকুল ইসলাম জানান, কিছু স্থান এখনো ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য বৃষ্টির সময় কিছুটা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতা কমে যাবে এবং পরিস্থিতির স্বাভাবিক হতে পারে। চলমান কাজের তদারকি এবং দ্রুততার মাধ্যমে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে তারা আশাবাদী।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

রেললাইনে হাঁটু পানি, ২ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস

প্রকাশিতঃ ১১:৫৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

রাতের প্রবল বর্ষণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা এবং রেললাইনগুলোতে পানি জমে থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে ছেড়ে গেছে। এর ফলে বহু যাত্রী গভীর দুর্ভোগে পড়েছেন।

সাধারণত সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, তার আগেই রেললাইনে হাঁটুসমান পানি জমে থাকার কারণে রেল কর্তৃপক্ষ এটি স্থানান্তর করে সকাল ৮:১৫ মিনিটে। এই বিলম্বের কারণে যাত্রীরা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন।

আব্দুল হামিদ নামে একজন যাত্রী বলেন, আমি ঢাকায় বিকেল ৩টায় একটি ব্যাংকের চাকরির পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি। কিন্তু ট্রেনটি দেরিতে ছাড়ায় আমার সময় যেন অনির্দিষ্ট হয়ে গেছে। এটা আমাদের সব যাত্রীদের জন্য খুবই কষ্টকর। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য আহ্বান জানান।

আরেক যাত্রী আবু সাঈদ বলেন, আমার মায়ের অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসার জন্য আমি ঢাকায় যাচ্ছি। কিন্তু রেললাইন জুড়ে ছোটাছুটি চলছে, বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে ট্রেন দেরিতে ছেড়ে গেছে। রাতভর প্রবল বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীদের অনেক ধরণের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শহিদুল আলম জানান, রাতভর ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ায় শুধুমাত্র রেললাইনে হাঁটু পানি জমে গেছে না, বরং রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন রুটেও পানি জমেছে। এই কারণেই ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে না পারা।

অপর দিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তোফিকুল ইসলাম জানান, কিছু স্থান এখনো ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য বৃষ্টির সময় কিছুটা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতা কমে যাবে এবং পরিস্থিতির স্বাভাবিক হতে পারে। চলমান কাজের তদারকি এবং দ্রুততার মাধ্যমে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে তারা আশাবাদী।