০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

টিউলিপ সিদ্দিকের অভিযোগ: হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বের বলি আমি

বাংলাদেশে দুর্নীতির এক মামলার আসামি হিসেবে নিজেকে ‘বলির পাঁঠা’ হিসেবে দাবি করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ও প্রাক্তন ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, এই মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। ব্রিটিশ জনপ্রিয় সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

৪২ বছর বয়সি এই লেবার পার্টির নেত্রী জানান, তিনি সম্প্রতি ওই মামলার বিষয়ে জানতে পারেন যে, ঢাকার পূর্বাচল প্রকল্পে জমি বরাদ্দে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এবং আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ১১ আগস্ট। তবে তিনি জানিয়েছেন, এখনও তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক সমন পাননি এবং অভিযোগপত্রও দেখেননি। তাঁর ভাষায়, ‘আমি যেন একটি অদ্ভুত দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়েই চলছি, যেখানে বিচার শুরু হবে কিন্তু আমি জানি না আমার বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ কি।’

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের মতে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় তিনি অনুপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বিচার হতে পারে।

গত বছরের জুলাইয়ে লেবার পার্টির নির্বাচনী জয়ে তিনি অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং এই কাজ উপভোগ করছিলেন। কিন্তু সে সময় বাংলাদেশে ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে বিক্ষোভের কারণে শেখ হাসিনার সরকার পতন হয়। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর, মুহাম্মদ ইউনূস তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন।

প্রথমত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে, যা তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। এরপর ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগ ওঠে, যা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।

নিরাপত্তার কারণে অন্য কারো মালিকানাধীন বাড়িতে থাকার ঘটনায়ও সমালোচনার মুখে পড়েছেন টিউলিপ। তবে, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের নীতিগত আচরণবিধি পর্যালোচনার জন্য গঠিত স্বতন্ত্র পরামর্শদাতা স্যার লরি ম্যাগনাস তার আর্থিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে বলে, তাকে এই অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

টিউলিপ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকে তাকে ‘নোংরা রাজনীতি’ এর শিকার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি মুহাম্মদ ইউনূস এবং আমার খালাতা শেখ হাসিনার মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলাফল, এবং আমি এই পরিস্থিতির বলি হয়ে গেছি। বাংলাদেশের যেখানে অপরাধী রয়েছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত, কিন্তু আমি সেখানে অন্তর্ভুক্ত নয়।’

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

টিউলিপ সিদ্দিকের অভিযোগ: হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বের বলি আমি

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশে দুর্নীতির এক মামলার আসামি হিসেবে নিজেকে ‘বলির পাঁঠা’ হিসেবে দাবি করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ও প্রাক্তন ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, এই মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। ব্রিটিশ জনপ্রিয় সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

৪২ বছর বয়সি এই লেবার পার্টির নেত্রী জানান, তিনি সম্প্রতি ওই মামলার বিষয়ে জানতে পারেন যে, ঢাকার পূর্বাচল প্রকল্পে জমি বরাদ্দে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এবং আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ১১ আগস্ট। তবে তিনি জানিয়েছেন, এখনও তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক সমন পাননি এবং অভিযোগপত্রও দেখেননি। তাঁর ভাষায়, ‘আমি যেন একটি অদ্ভুত দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়েই চলছি, যেখানে বিচার শুরু হবে কিন্তু আমি জানি না আমার বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ কি।’

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের মতে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় তিনি অনুপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বিচার হতে পারে।

গত বছরের জুলাইয়ে লেবার পার্টির নির্বাচনী জয়ে তিনি অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং এই কাজ উপভোগ করছিলেন। কিন্তু সে সময় বাংলাদেশে ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে বিক্ষোভের কারণে শেখ হাসিনার সরকার পতন হয়। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর, মুহাম্মদ ইউনূস তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন।

প্রথমত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে, যা তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। এরপর ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগ ওঠে, যা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।

নিরাপত্তার কারণে অন্য কারো মালিকানাধীন বাড়িতে থাকার ঘটনায়ও সমালোচনার মুখে পড়েছেন টিউলিপ। তবে, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের নীতিগত আচরণবিধি পর্যালোচনার জন্য গঠিত স্বতন্ত্র পরামর্শদাতা স্যার লরি ম্যাগনাস তার আর্থিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে বলে, তাকে এই অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

টিউলিপ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকে তাকে ‘নোংরা রাজনীতি’ এর শিকার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি মুহাম্মদ ইউনূস এবং আমার খালাতা শেখ হাসিনার মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলাফল, এবং আমি এই পরিস্থিতির বলি হয়ে গেছি। বাংলাদেশের যেখানে অপরাধী রয়েছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত, কিন্তু আমি সেখানে অন্তর্ভুক্ত নয়।’