০১:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের ৬ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলায় অপমানবোধ করেছিলেন দিল্লির বায়ুদূষণ: ঐতিহাসিক লালকেল্লা কালো হয়ে যাচ্ছে সংবিধান সংশোধনে গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তরে ‘সার্ভিসিং২৪’ এর এআই ও আইওটি সেবা জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবের অংশগ্রহণ ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ইসির দায়িত্ব চান নির্বাচনী কর্মকর্তারা, অবাধ নির্বাচন নিশ্চিতের প্রত্যাশা তীব্র গরমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, সুস্থতা বিপন্ন লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, কমপক্ষে ৫০ সুদানি শরণার্থী মৃত্যু

মিয়ানমারে উচ্চ বিদ্যালয়ে বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৯ শিক্ষার্থী নিহত

মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠীর বরাত দিয়ে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ১৯ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এই হৃদয় বিদারক ঘটনাটি শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনাটি রাখাইনের জন্য চলমান সংঘর্ষের এক নিষ্ঠুর দিক। অং সান সু চির বেসামরিক সরকারের পতনের পর ২০২১ সালে মিয়ানমারে যে রক্তক্ষয়ী অস্থিরতা শুরু হয়, তারই এক অংশ এই সংঘর্ষ। এর মধ্যে নতুন করে আরও ঝড় ওঠে রাখাইন অঞ্চলে যেখানে সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।

এএফপি জানিয়েছে, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে তারা বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে কিয়াউকতাও শহরের দুটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ১৫ থেকে ২১ বছর বয়সী ১৯ জন শিক্ষার্থী নিহত ও আরও ২২ জন আহত হয়।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেছে, ‘নিরীহ শিক্ষার্থীদের এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আমরা নিহতের পরিবারের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি।’ যদিও এই হামলার জন্য তারা জান্তাকে দায়ী করেছে, কিন্তু জান্তা বা সরকারপক্ষের কোনো বক্তব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ‘মিয়ানমার নাও’ জানিয়েছে, একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ঘুমাচ্ছিলেন এমন সময় জান্তা বাহিনীর বিমান দুটি ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমা ফেলে। এই নৃশংস হামলাকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো নিন্দা জানিয়েছে।

অ্যান ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি একটি পৈশাচিক ও বিভৎস ঘটনা।

এএফপি জানিয়েছে, কিয়াউকতাওয়ের আশপাশের এলাকাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, কারণ সেখানে ইন্টারনেট ও ফোন সেবা বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বিভিন্ন ফ্রন্টে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বিমান হামলা ও কামান দিয়ে আঘাত চালিয়ে আসছে, এর ফলে ব্যাপক নিরাপত্তা ঝুঁকি বিরাজ করছে। জাতিগত সংখ্যালঘু ও সাধারণ জনগণের জীবনে এই সংঘাতের কুপ্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে।

ট্যাগ :

নির্বাচন করার মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি

মিয়ানমারে উচ্চ বিদ্যালয়ে বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৯ শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিতঃ ১০:৫৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠীর বরাত দিয়ে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ১৯ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এই হৃদয় বিদারক ঘটনাটি শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনাটি রাখাইনের জন্য চলমান সংঘর্ষের এক নিষ্ঠুর দিক। অং সান সু চির বেসামরিক সরকারের পতনের পর ২০২১ সালে মিয়ানমারে যে রক্তক্ষয়ী অস্থিরতা শুরু হয়, তারই এক অংশ এই সংঘর্ষ। এর মধ্যে নতুন করে আরও ঝড় ওঠে রাখাইন অঞ্চলে যেখানে সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।

এএফপি জানিয়েছে, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে তারা বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে কিয়াউকতাও শহরের দুটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ১৫ থেকে ২১ বছর বয়সী ১৯ জন শিক্ষার্থী নিহত ও আরও ২২ জন আহত হয়।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেছে, ‘নিরীহ শিক্ষার্থীদের এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আমরা নিহতের পরিবারের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি।’ যদিও এই হামলার জন্য তারা জান্তাকে দায়ী করেছে, কিন্তু জান্তা বা সরকারপক্ষের কোনো বক্তব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ‘মিয়ানমার নাও’ জানিয়েছে, একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ঘুমাচ্ছিলেন এমন সময় জান্তা বাহিনীর বিমান দুটি ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমা ফেলে। এই নৃশংস হামলাকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো নিন্দা জানিয়েছে।

অ্যান ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি একটি পৈশাচিক ও বিভৎস ঘটনা।

এএফপি জানিয়েছে, কিয়াউকতাওয়ের আশপাশের এলাকাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, কারণ সেখানে ইন্টারনেট ও ফোন সেবা বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বিভিন্ন ফ্রন্টে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বিমান হামলা ও কামান দিয়ে আঘাত চালিয়ে আসছে, এর ফলে ব্যাপক নিরাপত্তা ঝুঁকি বিরাজ করছে। জাতিগত সংখ্যালঘু ও সাধারণ জনগণের জীবনে এই সংঘাতের কুপ্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে।