০৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

ইরানে চলতি বছর এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

চলতি বছরের শুরু থেকেই এখন পর্যন্ত ইরান প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে বলে জানিয়েছেন নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)। এটি গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড। এই মানবাধিকার সংগঠনটি বলছে, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে নারী, আফগান নাগরিক, পাশাপাশি ব্যাখ্যাবহৃৎবিচারবিরোধী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সদস্য—যেমন বেলুচ, কুর্দি এবং আরবজনগোষ্ঠীর সদস্যরাও রয়েছেন।

বুধবার এক বিবৃতিতে আইএইচআর জানিয়েছে, মাত্র গত সপ্তাহেই ইরানে কমপক্ষে ৬৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অর্থাৎ, দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে নয়জনের বেশি মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের ব্যাপক নিষ্পাপের ধারণাকে গণহত্যার মতো আখ্যা দিয়ে সংস্থাটির অভিযোগ, ইরানি কর্তৃপক্ষ কারাগারে এক ধরনের ‘গণহত্যার অভিযান’ চালাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশই মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে দোষী, অন্যান্য অপরাধের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের জন্য ৪৩ শতাংশ, নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিযোগ যেমন- দুর্নীতি (এফসাদ-ফিল-আরজ) ও শত্রুতা (মোহারেবেহ) জন্য ৩ শতাংশ, ধর্ষণের জন্য ৩ শতাংশ এবং গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে ১ শতাংশেরও কম মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১১ শতাংশের মৃত্যুদণ্ড সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

আইএইচআর-এর পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোঘাদ্দাম মন্তব্য করে বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের কারাগারগুলোতে গণহত্যার মত অভিযান শুরু হয়েছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে একটি গুরুতর উদ্বেগের কারণ। ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়া ও মানবিক অধিকার না থাকায়, একদিকে ব্যাপক এবং নির্বিচারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা মানবতাবিরোধী অপরাধের সমান।”

প্রসঙ্গত, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা দাবি করছে, চীনের পরে ইরানই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশ। এই দেশে হত্যা, ধর্ষণ ও গুপ্তচরবৃত্তির মতো অপরাধের জন্য আগেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং সাধারণত ভোরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এই শাস্তি কার্যকর করা হয়।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

ইরানে চলতি বছর এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

প্রকাশিতঃ ০৪:১৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চলতি বছরের শুরু থেকেই এখন পর্যন্ত ইরান প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে বলে জানিয়েছেন নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)। এটি গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড। এই মানবাধিকার সংগঠনটি বলছে, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে নারী, আফগান নাগরিক, পাশাপাশি ব্যাখ্যাবহৃৎবিচারবিরোধী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সদস্য—যেমন বেলুচ, কুর্দি এবং আরবজনগোষ্ঠীর সদস্যরাও রয়েছেন।

বুধবার এক বিবৃতিতে আইএইচআর জানিয়েছে, মাত্র গত সপ্তাহেই ইরানে কমপক্ষে ৬৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অর্থাৎ, দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে নয়জনের বেশি মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের ব্যাপক নিষ্পাপের ধারণাকে গণহত্যার মতো আখ্যা দিয়ে সংস্থাটির অভিযোগ, ইরানি কর্তৃপক্ষ কারাগারে এক ধরনের ‘গণহত্যার অভিযান’ চালাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশই মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে দোষী, অন্যান্য অপরাধের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের জন্য ৪৩ শতাংশ, নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিযোগ যেমন- দুর্নীতি (এফসাদ-ফিল-আরজ) ও শত্রুতা (মোহারেবেহ) জন্য ৩ শতাংশ, ধর্ষণের জন্য ৩ শতাংশ এবং গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে ১ শতাংশেরও কম মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১১ শতাংশের মৃত্যুদণ্ড সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

আইএইচআর-এর পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোঘাদ্দাম মন্তব্য করে বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের কারাগারগুলোতে গণহত্যার মত অভিযান শুরু হয়েছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে একটি গুরুতর উদ্বেগের কারণ। ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়া ও মানবিক অধিকার না থাকায়, একদিকে ব্যাপক এবং নির্বিচারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা মানবতাবিরোধী অপরাধের সমান।”

প্রসঙ্গত, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা দাবি করছে, চীনের পরে ইরানই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশ। এই দেশে হত্যা, ধর্ষণ ও গুপ্তচরবৃত্তির মতো অপরাধের জন্য আগেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং সাধারণত ভোরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এই শাস্তি কার্যকর করা হয়।