০২:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করল এনসিটিবি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ, গুজবে মনোযোগ না দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজ আরও সাত রাজনৈতিক দলের বৈঠক ৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সহকারী কর কমিশনারকে বরখাস্ত অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে কিছুটা হতাশা প্রকাশ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাকৃবিতে বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিন্দা ও প্রতিবাদ দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫০৪ আগস্টে গণপিটুনির হত্যা বেড়েছে, জুলাইয়ের তুলনায় বেশি চবি হাসপাতালে দফায় দফায় সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত মঙ্গলবার আরও ৭ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই ২০২৫ এর রাজস্ব আয়ের অগ্রগতি ও পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নভেম্বরে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসের জাতীয় রাজস্ব আহরণের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং উন্নয়নের জন্য বিশেষ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলো। এই সভা বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মোঃ আবদুর রহমান খান এফসিএমএ সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগসহ আয়কর বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তারা অংশ নেয়।

সভায় প্রধান আলোচনাগুলোর মধ্যে ছিলো রাজস্ব সংগ্রহের মূল কৌশল, ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন নিশ্চিতকরণ, আইনের যথার্থ প্রয়োগ ও ঝুঁকি বিবেচনায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। সচিব বলেন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনে বিন লক না করে, অতীত রেকর্ডের ভিত্তিতে যথাযথ কার্যক্রম নেয়া উচিত। তিনি সব কাস্টমস হাউস ও গোয়েন্দা দপ্তরকে নির্দেশ দেন, কেন বিন লক করা হলো এবং কেমনভাবে অতিরিক্ত কর আদায় হয়েছে, এর বিস্তারিত মাসিক রিপোর্ট দিতে।

ভ্যাট সংক্রান্ত আলোচনা প্রণিধানযোগ্য ছিলো। তিনি বলেন, নিয়মিত আঞ্চলিক আইন অনুসারে ভ্যাট সংগ্রহে অচিরে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা সৎভাবে নিয়ম মানে না বা ভ্যাট ফাঁকি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। এ জন্য সবাইকে ভ্যাট নিবন্ধন নিশ্চিত করতে বিশেষ তৎপরতা চালানোর ওপর গুরুত্ব দেন।

অর্থবছরের অগ্রগতি দেখাতে বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো ও অনলাইন আয়কর রিটার্ন প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, অনলাইন কার্যক্রমের সময় সীমা নির্ধারণ ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন অসদুপায় বা অপব্যবহার পেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেন।

বন্ড ব্যবস্থার যথাযথ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। চেয়ারম্যান নির্দেশ দেন, বাজারে বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের বন্ড বাতিল করতে হবে। অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও ঘোষণা দেন তিনি। পাশাপাশি, নিলাম কার্যক্রম জোরদার ও বন্দরের বহু দিন আটক কন্টেইনার দ্রুত নিলামে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আয়কর অনুবিভাগের প্রগতি মূল্যায়নে, তার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ এবং ই-সিস্টেম সংযোগের ওপর জোর দেন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, বকেয়া কর আদায় বাড়াতে সিস্টেমের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অডিট কার্যক্রমের গতি বাড়িয়ে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি ও কর দাবি সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশেষ করে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ অডিট প্রক্রিয়া চালুর জন্য উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।

আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য করদাতাদের সচেতনতা এবং কর ফাঁকি রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান। তিনি রাজস্ব বৃদ্ধি ও কর-জিডিপি অনুপাত উন্নয়নের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সব কর্মকর্তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

অন্তর্বর্তী পর্যায়ে, সার্বিক কার্যক্রম তদারকি, রিটেনার্ড প্রসেসিং, কর ফাঁকি নজরদারি ও অডিট অগ্রগতি বিষয়ক নিয়মিত ব্রিফিং ও রিপোর্টিং এর জন্য স্পেশাল ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সব বিভাগীয় ও আঞ্চলিক কর্মকর্তারা, যারা ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও কার্যকর ফলাফলের জন্য একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

ট্যাগ :

জুলাই ২০২৫ এর রাজস্ব আয়ের অগ্রগতি ও পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নভেম্বরে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসের জাতীয় রাজস্ব আহরণের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং উন্নয়নের জন্য বিশেষ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলো। এই সভা বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মোঃ আবদুর রহমান খান এফসিএমএ সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগসহ আয়কর বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তারা অংশ নেয়।

সভায় প্রধান আলোচনাগুলোর মধ্যে ছিলো রাজস্ব সংগ্রহের মূল কৌশল, ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন নিশ্চিতকরণ, আইনের যথার্থ প্রয়োগ ও ঝুঁকি বিবেচনায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। সচিব বলেন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনে বিন লক না করে, অতীত রেকর্ডের ভিত্তিতে যথাযথ কার্যক্রম নেয়া উচিত। তিনি সব কাস্টমস হাউস ও গোয়েন্দা দপ্তরকে নির্দেশ দেন, কেন বিন লক করা হলো এবং কেমনভাবে অতিরিক্ত কর আদায় হয়েছে, এর বিস্তারিত মাসিক রিপোর্ট দিতে।

ভ্যাট সংক্রান্ত আলোচনা প্রণিধানযোগ্য ছিলো। তিনি বলেন, নিয়মিত আঞ্চলিক আইন অনুসারে ভ্যাট সংগ্রহে অচিরে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা সৎভাবে নিয়ম মানে না বা ভ্যাট ফাঁকি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। এ জন্য সবাইকে ভ্যাট নিবন্ধন নিশ্চিত করতে বিশেষ তৎপরতা চালানোর ওপর গুরুত্ব দেন।

অর্থবছরের অগ্রগতি দেখাতে বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো ও অনলাইন আয়কর রিটার্ন প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, অনলাইন কার্যক্রমের সময় সীমা নির্ধারণ ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন অসদুপায় বা অপব্যবহার পেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেন।

বন্ড ব্যবস্থার যথাযথ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। চেয়ারম্যান নির্দেশ দেন, বাজারে বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের বন্ড বাতিল করতে হবে। অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও ঘোষণা দেন তিনি। পাশাপাশি, নিলাম কার্যক্রম জোরদার ও বন্দরের বহু দিন আটক কন্টেইনার দ্রুত নিলামে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আয়কর অনুবিভাগের প্রগতি মূল্যায়নে, তার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ এবং ই-সিস্টেম সংযোগের ওপর জোর দেন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, বকেয়া কর আদায় বাড়াতে সিস্টেমের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অডিট কার্যক্রমের গতি বাড়িয়ে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি ও কর দাবি সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশেষ করে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ অডিট প্রক্রিয়া চালুর জন্য উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।

আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য করদাতাদের সচেতনতা এবং কর ফাঁকি রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান। তিনি রাজস্ব বৃদ্ধি ও কর-জিডিপি অনুপাত উন্নয়নের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সব কর্মকর্তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

অন্তর্বর্তী পর্যায়ে, সার্বিক কার্যক্রম তদারকি, রিটেনার্ড প্রসেসিং, কর ফাঁকি নজরদারি ও অডিট অগ্রগতি বিষয়ক নিয়মিত ব্রিফিং ও রিপোর্টিং এর জন্য স্পেশাল ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সব বিভাগীয় ও আঞ্চলিক কর্মকর্তারা, যারা ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও কার্যকর ফলাফলের জন্য একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।