০২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহীমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরতে নির্দেশ নারী ও শিশুদের জন্য সাইবার স্পেস নিরাপদ করতে উদ্যোগ জরুরি: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশীদ নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ নিশ্চিতের আহ্বান আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ আগামী এক মাসের মধ্যে আলুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টার আশঙ্কা মৎস্য খাতে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের অবদান দেশের গর্বের বিষয়: মৎস্য উপদেষ্টা চিকিৎসকদের মানবিকতা 강조 করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আহ্বান মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণের পথ দেখাতে পারে মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে সকলেই দেশের সম্পদ হবেন: আসিফ মাহমুদ

জনগণের ভোটই ভবিষ্যৎ সরকারের নির্ধারক: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের ভবিষ্যৎ সরকার নির্ধারিত হবে জনগণের ভোটের মাধ্যমে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যা এই দেশটির গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অন্যতম মাধ্যম। বিএনপি ইতোমধ্যে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবং সাধারণ মানুষও উৎসুকভাবে অপেক্ষা করছে এই নির্বাচনের জন্য।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বরিশাল বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরাম আয়োজিত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমীর খসরু বলেন, ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করবে এবং এর ফলে সাধারণ মানুষ তার মৌলিক চাহিদা ও প্রয়োজনের কথা সরাসরি বলার সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে সরকারও দাখিল করবে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহির আওতায়, যা দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন অপেক্ষা করছি একটি নির্বাচিত সরকারের জন্য। যদি জনগণ আমাদের সমর্থন দেয়, তাহলে আমরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছি যাতে প্রথম দিন থেকেই দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।

তিনি উল্লেখ করেন, পূর্বে অর্থনীতি কিছু সীমিত গোষ্ঠীর হাতে থাকলেও এখন তিনি চাইছেন, অর্থনীতিকে যেন সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রের আওতায় আনা হয়। এর জন্য প্রয়োজন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরার। গ্রামের সাধারণ মানুষের তৈরি পণ্যই তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার হতে পারে।

আমীর খসরু জানান, বিএনপি দেশের প্রতিটি বিভাগে গিয়ে মানুষের সমস্যাগুলো শুনছে এবং তাদের দাবি-চাহিদা পূরণের উপায় খুঁজছে। হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করে ব্র্যান্ডিং, আর্থিকসহায়তা ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছানোর লক্ষ্য রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ ঘরে বসে পণ্য তৈরি করবে এবং সেসব পণ্য দেশ-বিদেশে বিক্রি হবে। এতে তাদের জীবনমান আরও উন্নত হবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের অর্থনীতি মূলধারায় যুক্ত হবে। এই উপায়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হবে, যা দেশের সমসাময়িক প্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

ট্যাগ :

জনগণের ভোটই ভবিষ্যৎ সরকারের নির্ধারক: আমীর খসরু

প্রকাশিতঃ ১০:৪৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের ভবিষ্যৎ সরকার নির্ধারিত হবে জনগণের ভোটের মাধ্যমে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যা এই দেশটির গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অন্যতম মাধ্যম। বিএনপি ইতোমধ্যে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবং সাধারণ মানুষও উৎসুকভাবে অপেক্ষা করছে এই নির্বাচনের জন্য।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বরিশাল বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরাম আয়োজিত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমীর খসরু বলেন, ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করবে এবং এর ফলে সাধারণ মানুষ তার মৌলিক চাহিদা ও প্রয়োজনের কথা সরাসরি বলার সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে সরকারও দাখিল করবে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহির আওতায়, যা দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন অপেক্ষা করছি একটি নির্বাচিত সরকারের জন্য। যদি জনগণ আমাদের সমর্থন দেয়, তাহলে আমরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছি যাতে প্রথম দিন থেকেই দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।

তিনি উল্লেখ করেন, পূর্বে অর্থনীতি কিছু সীমিত গোষ্ঠীর হাতে থাকলেও এখন তিনি চাইছেন, অর্থনীতিকে যেন সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রের আওতায় আনা হয়। এর জন্য প্রয়োজন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরার। গ্রামের সাধারণ মানুষের তৈরি পণ্যই তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার হতে পারে।

আমীর খসরু জানান, বিএনপি দেশের প্রতিটি বিভাগে গিয়ে মানুষের সমস্যাগুলো শুনছে এবং তাদের দাবি-চাহিদা পূরণের উপায় খুঁজছে। হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করে ব্র্যান্ডিং, আর্থিকসহায়তা ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছানোর লক্ষ্য রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ ঘরে বসে পণ্য তৈরি করবে এবং সেসব পণ্য দেশ-বিদেশে বিক্রি হবে। এতে তাদের জীবনমান আরও উন্নত হবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের অর্থনীতি মূলধারায় যুক্ত হবে। এই উপায়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হবে, যা দেশের সমসাময়িক প্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।