১২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহীমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরতে নির্দেশ নারী ও শিশুদের জন্য সাইবার স্পেস নিরাপদ করতে উদ্যোগ জরুরি: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশীদ নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ নিশ্চিতের আহ্বান আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ আগামী এক মাসের মধ্যে আলুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টার আশঙ্কা মৎস্য খাতে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের অবদান দেশের গর্বের বিষয়: মৎস্য উপদেষ্টা চিকিৎসকদের মানবিকতা 강조 করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আহ্বান মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণের পথ দেখাতে পারে মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে সকলেই দেশের সম্পদ হবেন: আসিফ মাহমুদ

ব্যাংকখাতে সংস্কারের ফলপ্রসূ প্রভাব: ঢালাও অর্থপাচার বন্ধ হয়েছে, বললেন টিআইবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ব্যাংকের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কারণে ঢালাও অর্থপাচার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি ব্যাংক খাতের জালিয়াতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, যার ফলস্বরূপ আগে যেখানে ব্যাপক টাকা পাচার হত, তা অনেকটা বন্ধ হয়েছে। এই পরিস্থিতি তৈরি করতে যুক্ত ছিলেন দেশের বিচার বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, যারা অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করেছেন বা দেশের বাইরে চলে গেছেন। এই পরিস্থিতিতে কিছু নতুন মুখও এখনও দেখা যাচ্ছে না। তবে তিনি জোড় দিয়েছেন, ব্যাংক খাতে আরও ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, কারণ পূর্বের বৃহৎ পরিমাণ অর্থপাচার নিয়ে কাজ চলেছে, তবে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আরও বেশি উদ্যোগ নিতে হবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থপাচার রোধে প্রচুর অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগ করা হচ্ছে, তবে প্রয়োজন আরও বিস্তৃত প্রচেষ্টার। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের মাধ্যমে ও হুন্ডির মাধ্যমে বেশ কিছু অর্থপাচার হত, যা এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া, মিস ইনভয়েসিং বা চালান জালিয়াতির মাধ্যমে যেসব অর্থপাচার হত, তারও ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। যেহেতু দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিভিন্ন সুপারিশ বাস্তবায়ন হচ্ছে, তাই অর্থপাচার বন্ধে এখন অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে তিনি বলেন। নিজের মন্তব্যে ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, গণতন্ত্রের অস্তিত্বের জন্য সাংবাদিকতা অপরিহার্য, আর গণতন্ত্রের বাইরে ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াইও অসম্ভব। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে একটি দীর্ঘস্থায়ী গণআন্দোলন হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষ—যেমন তরুণ ও নারীরা—দুর্নীতির বিরুদ্ধে ময়দানে দাঁড়িয়েছিল। বিশ্বে স্বৈরতন্ত্রের উত্থান যেখানে ঘটছে, সেখানে বাংলাদেশের উদাহরণ ভিন্ন। এই কারণেই আন্তর্জাতিক সমাজ বাংলাদেশকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখছে। দেশের সংস্কার কার্যক্রম ত্বরিত চলেছে—যেখানে টিআইএর সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কমিশন ও উদ্যোগ গড়ে উঠেছে। এই সংস্কারগুলো স্থায়ী করতে প্রয়োজন রয়েছে গভীর রাষ্ট্রীয় পরিবর্তনের। তিনি বিশ্বাস করেন, নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জিত হবে। আমার মানতে হবে যে, স্বৈরশাসনের পতনের পরও বাংলাদেশে দুর্নীতির সমস্যা এখনও বিদ্যমান, যদিও বর্তমানে এই বিষয়টি অনেক বেশি নজরদারিতে রয়েছে। একারণে, দুর্নীতির সমস্যা পৃথিবীর সব দেশে থাকলেও, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে পর্যাপ্ত কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ফলে, এই কাজের সমাপ্তি কখনোই সম্ভব নয় বললেন তিনি।

ট্যাগ :

ব্যাংকখাতে সংস্কারের ফলপ্রসূ প্রভাব: ঢালাও অর্থপাচার বন্ধ হয়েছে, বললেন টিআইবি

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ব্যাংকের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কারণে ঢালাও অর্থপাচার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি ব্যাংক খাতের জালিয়াতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, যার ফলস্বরূপ আগে যেখানে ব্যাপক টাকা পাচার হত, তা অনেকটা বন্ধ হয়েছে। এই পরিস্থিতি তৈরি করতে যুক্ত ছিলেন দেশের বিচার বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, যারা অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করেছেন বা দেশের বাইরে চলে গেছেন। এই পরিস্থিতিতে কিছু নতুন মুখও এখনও দেখা যাচ্ছে না। তবে তিনি জোড় দিয়েছেন, ব্যাংক খাতে আরও ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, কারণ পূর্বের বৃহৎ পরিমাণ অর্থপাচার নিয়ে কাজ চলেছে, তবে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আরও বেশি উদ্যোগ নিতে হবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থপাচার রোধে প্রচুর অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগ করা হচ্ছে, তবে প্রয়োজন আরও বিস্তৃত প্রচেষ্টার। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের মাধ্যমে ও হুন্ডির মাধ্যমে বেশ কিছু অর্থপাচার হত, যা এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া, মিস ইনভয়েসিং বা চালান জালিয়াতির মাধ্যমে যেসব অর্থপাচার হত, তারও ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। যেহেতু দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিভিন্ন সুপারিশ বাস্তবায়ন হচ্ছে, তাই অর্থপাচার বন্ধে এখন অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে তিনি বলেন। নিজের মন্তব্যে ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, গণতন্ত্রের অস্তিত্বের জন্য সাংবাদিকতা অপরিহার্য, আর গণতন্ত্রের বাইরে ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াইও অসম্ভব। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে একটি দীর্ঘস্থায়ী গণআন্দোলন হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষ—যেমন তরুণ ও নারীরা—দুর্নীতির বিরুদ্ধে ময়দানে দাঁড়িয়েছিল। বিশ্বে স্বৈরতন্ত্রের উত্থান যেখানে ঘটছে, সেখানে বাংলাদেশের উদাহরণ ভিন্ন। এই কারণেই আন্তর্জাতিক সমাজ বাংলাদেশকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখছে। দেশের সংস্কার কার্যক্রম ত্বরিত চলেছে—যেখানে টিআইএর সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কমিশন ও উদ্যোগ গড়ে উঠেছে। এই সংস্কারগুলো স্থায়ী করতে প্রয়োজন রয়েছে গভীর রাষ্ট্রীয় পরিবর্তনের। তিনি বিশ্বাস করেন, নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জিত হবে। আমার মানতে হবে যে, স্বৈরশাসনের পতনের পরও বাংলাদেশে দুর্নীতির সমস্যা এখনও বিদ্যমান, যদিও বর্তমানে এই বিষয়টি অনেক বেশি নজরদারিতে রয়েছে। একারণে, দুর্নীতির সমস্যা পৃথিবীর সব দেশে থাকলেও, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে পর্যাপ্ত কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ফলে, এই কাজের সমাপ্তি কখনোই সম্ভব নয় বললেন তিনি।