১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানাবে সরকারকে মতামত সমন্বয় করে: আলী রীয়াজ জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর হবে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের নতুন উদ্যোগ শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলনে উৎসাহ ও উদ্দীপনা

অবশেষে আট বছর পরে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা বিএনপির দ্বি-বাষিক সম্মেলন। এই অনুষ্ঠানের জন্য নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছাস, উৎসাহ ও প্রত্যাশা দেখা দিয়েছে। শেষবার এই ধরনের সম্মেলন সমাজে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা বাঁধা ও বাধার কারণে আর কোন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে এবারের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন এবং নতুন উদ্দীপনায় প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই মঞ্চ তৈরির কাজ সৃষ্টির পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙ্গানো হয়েছে। তবে প্রার্থীদের মনোনয়ন ও কাউন্সিলরদের বন্টন নিয়ে দলীয় নেতারা বলছেন, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।

সম্মেলনের জন্য নির্বাচনী কমিশনের তথ্যানুযায়ী, মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এর মধ্যে ৬ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সভাপতি পদে এখন একজন প্রার্থী থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন চারজন প্রার্থী। সম্মেলনে মোট কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করবেন ৮০৮ জন।

উল্লেখ্য, সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধন করবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা থাকবেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু। এছাড়া রংপুরের তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।

প্রার্থীরা মনে করেন, এই সম্মেলন আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির জোরালো ভূমিকা রাখবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে যে কেউ আসুক না কেন, মহাসচিবের নির্দেশ মাথায় রেখে দলটি এগিয়ে যাবে।

দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তারা আশা করছেন, কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব এই সম্মেলন থেকে এগিয়ে আসবে। তবে দলের নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথাই দল স্বাভাবিকভাবে অনুসরণ করবে। সদস্যরা পূর্ণ আস্থা নিয়ে মনে করছেন, প্রার্থী ও দলের পদের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ হবে।

নির্বাচনী কমিশনের অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান চৌধুরী জানান, সম্মেলনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর সম্মেলন উপহার দিতে প্রত্যাশী।

অপর দিকে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও নিরাপত্তার জন্য উপস্থিত থাকবেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বিজয় থালাপতির বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলনে উৎসাহ ও উদ্দীপনা

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অবশেষে আট বছর পরে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা বিএনপির দ্বি-বাষিক সম্মেলন। এই অনুষ্ঠানের জন্য নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছাস, উৎসাহ ও প্রত্যাশা দেখা দিয়েছে। শেষবার এই ধরনের সম্মেলন সমাজে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা বাঁধা ও বাধার কারণে আর কোন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে এবারের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন এবং নতুন উদ্দীপনায় প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই মঞ্চ তৈরির কাজ সৃষ্টির পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙ্গানো হয়েছে। তবে প্রার্থীদের মনোনয়ন ও কাউন্সিলরদের বন্টন নিয়ে দলীয় নেতারা বলছেন, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।

সম্মেলনের জন্য নির্বাচনী কমিশনের তথ্যানুযায়ী, মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এর মধ্যে ৬ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সভাপতি পদে এখন একজন প্রার্থী থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন চারজন প্রার্থী। সম্মেলনে মোট কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করবেন ৮০৮ জন।

উল্লেখ্য, সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধন করবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা থাকবেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু। এছাড়া রংপুরের তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।

প্রার্থীরা মনে করেন, এই সম্মেলন আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির জোরালো ভূমিকা রাখবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে যে কেউ আসুক না কেন, মহাসচিবের নির্দেশ মাথায় রেখে দলটি এগিয়ে যাবে।

দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তারা আশা করছেন, কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব এই সম্মেলন থেকে এগিয়ে আসবে। তবে দলের নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথাই দল স্বাভাবিকভাবে অনুসরণ করবে। সদস্যরা পূর্ণ আস্থা নিয়ে মনে করছেন, প্রার্থী ও দলের পদের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ হবে।

নির্বাচনী কমিশনের অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান চৌধুরী জানান, সম্মেলনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর সম্মেলন উপহার দিতে প্রত্যাশী।

অপর দিকে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও নিরাপত্তার জন্য উপস্থিত থাকবেন।