১১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

বিশেষ বিশ্লেষণ: ৪২ হাজার ৬১৮ ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতিমধ্যে সারাদেশের জন্য একটি খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক ব্রিফিংয়ে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের কার্যক্রমের রোডম্যাপ অনুযায়ী আজ আমরা এই ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা সম্পর্কে একটি আপডেট দিয়েছি। সরকারের বিভিন্ন অঞ্চলের ভিত্তিতে মোট ৬৪ জেলায়, ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা এখন ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১। এই সংখ্যাগুলোর ভিত্তিতে গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার ফলে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি কেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে।

সচিব আরও জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্রে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৬০০ পুরুষ ভোটার জন্য একটি ও ৫০০ মহিলার জন্য একটি করে ভোটকক্ষ রাখা হবে। এভাবে হিসাব করে পুরুষ ভোটকক্ষের সংখ্যা হবে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৯টি এবং মহিলাদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ১০৭টি। সব মিলিয়ে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি।

অতীতে, গত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন যেখানে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৫০টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৪৭২। এবার কেন্দ্রীকরণের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও, ভোটকক্ষের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।

আখতার আহমেদ জানান, এই খসড়া তালিকা নিয়ে সাধারণ জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সংস্থাগুলি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপত্তি বা দাবী জানাতে পারবে। এই দাবিগুলোর নিষ্পত্তি করা হবে ১২ অক্টোবর। পরবর্তীতে, ২০ অক্টোবর শেষবারের মতো চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, কার্যকর ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ বিশ্লেষণ: ৪২ হাজার ৬১৮ ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতিমধ্যে সারাদেশের জন্য একটি খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক ব্রিফিংয়ে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের কার্যক্রমের রোডম্যাপ অনুযায়ী আজ আমরা এই ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা সম্পর্কে একটি আপডেট দিয়েছি। সরকারের বিভিন্ন অঞ্চলের ভিত্তিতে মোট ৬৪ জেলায়, ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা এখন ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১। এই সংখ্যাগুলোর ভিত্তিতে গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার ফলে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি কেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে।

সচিব আরও জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্রে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৬০০ পুরুষ ভোটার জন্য একটি ও ৫০০ মহিলার জন্য একটি করে ভোটকক্ষ রাখা হবে। এভাবে হিসাব করে পুরুষ ভোটকক্ষের সংখ্যা হবে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৯টি এবং মহিলাদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ১০৭টি। সব মিলিয়ে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি।

অতীতে, গত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন যেখানে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৫০টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৪৭২। এবার কেন্দ্রীকরণের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও, ভোটকক্ষের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।

আখতার আহমেদ জানান, এই খসড়া তালিকা নিয়ে সাধারণ জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সংস্থাগুলি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপত্তি বা দাবী জানাতে পারবে। এই দাবিগুলোর নিষ্পত্তি করা হবে ১২ অক্টোবর। পরবর্তীতে, ২০ অক্টোবর শেষবারের মতো চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, কার্যকর ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।