০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানাবে সরকারকে মতামত সমন্বয় করে: আলী রীয়াজ জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর হবে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের নতুন উদ্যোগ শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর

ডাকসু নির্বাচনের নতুন বার্তা: ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে দুর্দান্ত জয়

ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল এসে আবারও প্রমাণ করল, স্বপ্ন pousser করার জন্য দরকার শুধু সাহস নয়, অটল মনোভাব, নিষ্ঠা এবং মেধার সহযোগিতা। এই নির্বাচনে বিজয়ী ছাত্রেরা দেখিয়েছেন যে, দৃঢ় সংকল্প ও সততার সাথে একագրত্র প্রচেষ্টা গেলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। এটি শুধু একটি ব্যক্তিগত সফলতা নয়, বরং সকল শিক্ষার্থীর জন্য এক অনুপ্রেরণা, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে।

ডাকসুর এই নির্বাচনে দুর্দান্ত বিজয় সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে শিবিরের तीन নেতার জন্য। প্রথমে দেখা যাক মহিউদ্দিন খান মহিকে, যিনি শিক্ষাজীবনে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। চোখে চশমা, পাঞ্জাবি পরা এই ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি অনার্সে ৩.৯৩ সিজিপিএ পেয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং মাস্টার্সেও ৪.০০ সিজিপিএ নিয়ে শীর্ষে থাকেন। হলের মধ্যে ছাত্র রাজনীতিতে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব সামলানো তার বড় বৈশিষ্ট্য।

আরেকজন উজ্জ্বল নাম হচ্ছে এস এম ফরহাদ, যিনি ছোটখাটো দেহাবয়বের হলেও তার দায়িত্ব বড়। তিনি একজন প্রাজ্ঞ ডিবেটর এবং অনেক সময় ছাত্রদলের ভুলত্রুটি তুলে ধরতে সাহস দেখিয়েছেন। তার রাজনৈতিক পরিচয় গোপন রেখে চলার কৌশল বছর খানেকের মধ্যে প্রকাশ পায়, তবে তার নেতৃত্ব ও মনোভাব তিনি প্রমাণ করেছেন যে, কঠিন পরিস্থিতিতেও দায়িত্বশীলতা অবলম্বন সম্ভব।

তৃতীয়ত, সময়ের অন্যতম অনুপ্রেরণামূলক নেতা সাদিক কায়েমের কথা বলতেই হবে। তিনি শিবিরের অন্যতম মাথা এবং বর্তমান ডাকসুর প্রথম ও একমাত্র ভিপি, যারা মূলত ছাত্রের স্বার্থে সংগঠনের মূল কাজগুলো নিয়ে কাজ করছেন। নামাজরত অবস্থায় ছবি ভাইরাল হয় তার বিজয়োৎসবে, যেখানে তিনি বলেছিলেন, “ডাকসুর কাজ নেতা তৈরি করা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা।” তার লক্ষ্য হলো শিক্ষা, বাসস্থান, স্বাস্থ্য এবং আধুনিক সুবিধাগুলোর ব্যাপারে ছাত্রদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন। আত্মপ্রচার ছাড়াই তিনি তার কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, নেতৃত্বে সততা ও নৈতিকতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

বিজয় প্রত্যেকের জন্য একটি নতুন দিগন্তের সূচনা, যেখানে মেধা, দৃঢ় সংকল্প ও সততার সমন্বয়ে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তোলা যায়। এই ফলাফল শুধু একটি পদের জন্য নয়, লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর প্রত্যাশার প্রতিফলন। ছাত্র রাজনীতিকে কলঙ্কমুক্ত করে একটি নতুন ইতিহাস রচনা করার এই সময়, আমাদের শিক্ষা ও ছাত্রজীবনের এক সুন্দর দিক উজ্জ্বল করে তুললো। এই বিজয় আগামী দিনের জন্য নতুন আশা আর চলার পথের অনুপ্রেরণা, যা ভবিষ্যতে আরও উন্নত ও কলঙ্কমুক্ত ছাত্র রাজনীতি নিশ্চিত করবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বিজয় থালাপতির বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ

ডাকসু নির্বাচনের নতুন বার্তা: ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে দুর্দান্ত জয়

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল এসে আবারও প্রমাণ করল, স্বপ্ন pousser করার জন্য দরকার শুধু সাহস নয়, অটল মনোভাব, নিষ্ঠা এবং মেধার সহযোগিতা। এই নির্বাচনে বিজয়ী ছাত্রেরা দেখিয়েছেন যে, দৃঢ় সংকল্প ও সততার সাথে একագրত্র প্রচেষ্টা গেলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। এটি শুধু একটি ব্যক্তিগত সফলতা নয়, বরং সকল শিক্ষার্থীর জন্য এক অনুপ্রেরণা, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে।

ডাকসুর এই নির্বাচনে দুর্দান্ত বিজয় সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে শিবিরের तीन নেতার জন্য। প্রথমে দেখা যাক মহিউদ্দিন খান মহিকে, যিনি শিক্ষাজীবনে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। চোখে চশমা, পাঞ্জাবি পরা এই ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি অনার্সে ৩.৯৩ সিজিপিএ পেয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং মাস্টার্সেও ৪.০০ সিজিপিএ নিয়ে শীর্ষে থাকেন। হলের মধ্যে ছাত্র রাজনীতিতে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব সামলানো তার বড় বৈশিষ্ট্য।

আরেকজন উজ্জ্বল নাম হচ্ছে এস এম ফরহাদ, যিনি ছোটখাটো দেহাবয়বের হলেও তার দায়িত্ব বড়। তিনি একজন প্রাজ্ঞ ডিবেটর এবং অনেক সময় ছাত্রদলের ভুলত্রুটি তুলে ধরতে সাহস দেখিয়েছেন। তার রাজনৈতিক পরিচয় গোপন রেখে চলার কৌশল বছর খানেকের মধ্যে প্রকাশ পায়, তবে তার নেতৃত্ব ও মনোভাব তিনি প্রমাণ করেছেন যে, কঠিন পরিস্থিতিতেও দায়িত্বশীলতা অবলম্বন সম্ভব।

তৃতীয়ত, সময়ের অন্যতম অনুপ্রেরণামূলক নেতা সাদিক কায়েমের কথা বলতেই হবে। তিনি শিবিরের অন্যতম মাথা এবং বর্তমান ডাকসুর প্রথম ও একমাত্র ভিপি, যারা মূলত ছাত্রের স্বার্থে সংগঠনের মূল কাজগুলো নিয়ে কাজ করছেন। নামাজরত অবস্থায় ছবি ভাইরাল হয় তার বিজয়োৎসবে, যেখানে তিনি বলেছিলেন, “ডাকসুর কাজ নেতা তৈরি করা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা।” তার লক্ষ্য হলো শিক্ষা, বাসস্থান, স্বাস্থ্য এবং আধুনিক সুবিধাগুলোর ব্যাপারে ছাত্রদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন। আত্মপ্রচার ছাড়াই তিনি তার কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, নেতৃত্বে সততা ও নৈতিকতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

বিজয় প্রত্যেকের জন্য একটি নতুন দিগন্তের সূচনা, যেখানে মেধা, দৃঢ় সংকল্প ও সততার সমন্বয়ে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তোলা যায়। এই ফলাফল শুধু একটি পদের জন্য নয়, লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর প্রত্যাশার প্রতিফলন। ছাত্র রাজনীতিকে কলঙ্কমুক্ত করে একটি নতুন ইতিহাস রচনা করার এই সময়, আমাদের শিক্ষা ও ছাত্রজীবনের এক সুন্দর দিক উজ্জ্বল করে তুললো। এই বিজয় আগামী দিনের জন্য নতুন আশা আর চলার পথের অনুপ্রেরণা, যা ভবিষ্যতে আরও উন্নত ও কলঙ্কমুক্ত ছাত্র রাজনীতি নিশ্চিত করবে।