গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে নিজেকে জীবন থেকে আলাদা করে নিলেন ১৪ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্র, জোনায়েদ শেখ। এই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে তারাশী গ্রামে। নিহত জোনায়েদ ছিলেন মৃদুল শেখের ছেলে এবং পিনজুরী কওমী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
জোনায়েদ শুক্রবার বিকেলে ঘরে একা থাকাকালীন দরজা বন্ধ করে আড়ার Facing গলায় ফাঁস দেন। বিকেল পাঁচটার দিকে তার মা আছিয়া বেগম ঘরের দরজা বন্ধ দেখে স্বাভাবিক সন্দেহের পর, যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় জোনায়েদকে দেখতে পান। এসময় তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত ছাত্রের চাচা রাসেল শেখ বলেন, কিছুদিন আগে জোনায়েদ মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে এলে, সে আর মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছিল না। তার এই পরিবর্তনের জন্য মনে হয় মা-বাবার সাথে মনোমালিন্য হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারের দৃষ্টিতে অভিমান করেই হয়তো সে এই মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, পরিবার বা এলাকাবাসীর কাছ থেকে কোনও অভিযোগ না থাকায়, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শনিবার সকালে তারাশী কবরস্থানে শোকসভায় শিশু জোনায়েদের দাফন সম্পন্ন হয়।