০২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

পাকিস্তানের নাঙ্গা পর্বত আরোহণের পরিকল্পনা এভারেস্টজয়ী বাবর আলীর

পাকিস্তানের নাঙ্গা পর্বত আরোহণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী বাবর আলী। তিনি সম্প্রতি নেপালের মানাসলু শেরানে সফল অভিযান শেষে দেশে ফিরেছেন। শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাবর আলী জানান, এই বছর তিনি দুইটি আট হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত আরোহণ করেছেন। এখন তার পরিকল্পনা হচ্ছে ধীরে ধীরে বাকি থাকা ১০টি আট হাজারি পর্বতেও আরোহণ করা। বাবর আলী বললেন, আমি পাকিস্তানে পাঁচটি আট হাজার মিটার পর্বত আরোহনের স্বপ্ন দেখছি, যার মধ্যে অন্যতম হলো নাঙ্গা। আমি এখন তার দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

উল্লেখ্য, মানাসলু পর্বত আরোহণের সময় বাবর আলী কোনো বড় প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হননি। তিনি বলেন, পুরো অভিযানে আমি উপভোগ করেছি। অনেক মানুষ পর্বত আরোহণে আগ্রহী, তবে সঠিক প্রস্তুতি ও মানসিক শক্তি থাকলে তা সম্ভব। এই অভিযানটি খুবই কার্যকর প্রশিক্ষণের ফল এবং মনোবলই গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যাভেঞ্চারকারী বাবর আলী বলেন, মানাসলুর অভিযানে অক্সিজেন সিলিন্ডার বহন করতে হয়নি। ছয় থেকে পাঁচ লিটার অক্সিজেনের সাহায্যে তিনি আরোহনের খুবই কাছাকাছি ছিলেন, যা খুব সুবিধাজনক। তবে তিনি বলেন, বাতাসের সাথে শ্বাস নেওয়া খুবই কঠিন এবং এটি অনুভূত হয়েছে।

অক্সিজেন নয় — এই সিদ্ধান্তের পিছনে বাবর আলী বললেন, পশ্চিমা পর্বতারোহীদের সাধারণত এই রীতির অভ্যাস রয়েছে। অনেক সময় ঘনিষ্ঠ প্রশিক্ষণ ও মানসিক প্রস্তুতি থাকলে এই ধরনের পারফরম্যান্স সম্ভব। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের পর্বতচারীরা এই পথটি এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তার মতে, মানসিক শক্তি ও নিয়মিত প্রশিক্ষণই গুরুত্বপূর্ণ।

তানভীর আহমেদ, বাবর আলীর সহঅভিযাত্রী, বললেন, সবচেয়ে কঠিন হয় উচ্চতার সময়। উচ্চ শিখরে ওঠার সময় শরীর ও মনকে মানিয়ে নেওয়া ও প্রস্তুত থাকা জরুরি। ক্যাম্প ১ থেকে ২ ও ৩ থেকে ৪ এর পথ চলা খুবই কঠিন হয়, কারণ সেখানে এক দিনেই বেশ উচ্চতা অতিক্রম করতে হয়।

তিনি জানান, আবার আবার পর্বতে যাত্রা করে শরীর কেমন আচরণ করছে তা পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অনুশীলন করতে হয়। প্রত্যেকের শরীর আলাদা, তাই সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া আবশ্যক।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ‘সামুদা’র চিফ বিজনেস অফিসার বিকাশ কান্তি দাস এবং ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা আশরাফুল আরেফীন আসিফ।

উল্লেখ্য, ২৬ অক্টোবর ভোরে বাবর আলী ও তানভীর আহমেদ নেপালের মানাসলু পর্বত আরোহণ করেন, যা তাদের দুইজনের জন্যই একটি বিশাল ভালো অভিজ্ঞতা ও অর্জন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

পাকিস্তানের নাঙ্গা পর্বত আরোহণের পরিকল্পনা এভারেস্টজয়ী বাবর আলীর

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

পাকিস্তানের নাঙ্গা পর্বত আরোহণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী বাবর আলী। তিনি সম্প্রতি নেপালের মানাসলু শেরানে সফল অভিযান শেষে দেশে ফিরেছেন। শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাবর আলী জানান, এই বছর তিনি দুইটি আট হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত আরোহণ করেছেন। এখন তার পরিকল্পনা হচ্ছে ধীরে ধীরে বাকি থাকা ১০টি আট হাজারি পর্বতেও আরোহণ করা। বাবর আলী বললেন, আমি পাকিস্তানে পাঁচটি আট হাজার মিটার পর্বত আরোহনের স্বপ্ন দেখছি, যার মধ্যে অন্যতম হলো নাঙ্গা। আমি এখন তার দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

উল্লেখ্য, মানাসলু পর্বত আরোহণের সময় বাবর আলী কোনো বড় প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হননি। তিনি বলেন, পুরো অভিযানে আমি উপভোগ করেছি। অনেক মানুষ পর্বত আরোহণে আগ্রহী, তবে সঠিক প্রস্তুতি ও মানসিক শক্তি থাকলে তা সম্ভব। এই অভিযানটি খুবই কার্যকর প্রশিক্ষণের ফল এবং মনোবলই গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যাভেঞ্চারকারী বাবর আলী বলেন, মানাসলুর অভিযানে অক্সিজেন সিলিন্ডার বহন করতে হয়নি। ছয় থেকে পাঁচ লিটার অক্সিজেনের সাহায্যে তিনি আরোহনের খুবই কাছাকাছি ছিলেন, যা খুব সুবিধাজনক। তবে তিনি বলেন, বাতাসের সাথে শ্বাস নেওয়া খুবই কঠিন এবং এটি অনুভূত হয়েছে।

অক্সিজেন নয় — এই সিদ্ধান্তের পিছনে বাবর আলী বললেন, পশ্চিমা পর্বতারোহীদের সাধারণত এই রীতির অভ্যাস রয়েছে। অনেক সময় ঘনিষ্ঠ প্রশিক্ষণ ও মানসিক প্রস্তুতি থাকলে এই ধরনের পারফরম্যান্স সম্ভব। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের পর্বতচারীরা এই পথটি এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তার মতে, মানসিক শক্তি ও নিয়মিত প্রশিক্ষণই গুরুত্বপূর্ণ।

তানভীর আহমেদ, বাবর আলীর সহঅভিযাত্রী, বললেন, সবচেয়ে কঠিন হয় উচ্চতার সময়। উচ্চ শিখরে ওঠার সময় শরীর ও মনকে মানিয়ে নেওয়া ও প্রস্তুত থাকা জরুরি। ক্যাম্প ১ থেকে ২ ও ৩ থেকে ৪ এর পথ চলা খুবই কঠিন হয়, কারণ সেখানে এক দিনেই বেশ উচ্চতা অতিক্রম করতে হয়।

তিনি জানান, আবার আবার পর্বতে যাত্রা করে শরীর কেমন আচরণ করছে তা পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অনুশীলন করতে হয়। প্রত্যেকের শরীর আলাদা, তাই সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া আবশ্যক।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ‘সামুদা’র চিফ বিজনেস অফিসার বিকাশ কান্তি দাস এবং ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা আশরাফুল আরেফীন আসিফ।

উল্লেখ্য, ২৬ অক্টোবর ভোরে বাবর আলী ও তানভীর আহমেদ নেপালের মানাসলু পর্বত আরোহণ করেন, যা তাদের দুইজনের জন্যই একটি বিশাল ভালো অভিজ্ঞতা ও অর্জন।