বাংলাদেশের ক্রিকেটে এবার এক অদ্ভুত রেকর্ড গড়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তরুণ ভারতীয় অধিনায়ক শুবমান গিল। টেলিভিশনে মহাদেশের প্রতিপক্ষ বদলে গেলেও, টসে হেরে যান তিনি টেস্টের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে। এই টস হারের মাধ্যমে তিনি গড়ে তুলেছেন নিজের নতুন এক নজির, যা আগে শুধুমাত্র ভারতের সাবেক অধিনায়ক কপিল দেবের নামের সঙ্গে জড়িত ছিল।
বিশেষ করে, ইংল্যান্ডের মাটিতে পাঁচবার টস হারার পরে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টস হেরে যান গিল। স্বাভাবিকভাবেই এই চূড়ান্ত অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলে চোখে পড়েন বিভিন্ন রেকর্ড। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, তিনি এখন ইংল্যান্ডের টম ল্যাথামের পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন, যিনি অধিনায়কত্বের শুরুতেই ছয়বার টস হেরেছিলেন। গিলের এই হারের ফলে তিনি কপিল দেবের রেকর্ডের থেকে এগিয়ে গেলেন, যিনি ১৯৮৩ সালে প্রথম পাঁচটি টস হারেছিলেন।
অপরদিকে, নিউজিল্যান্ডের বেন কংডন এখনও দাঁড়িয়ে আছেন এক অদ্ভুত রেকর্ডের উপর—টানা সাতবার টস হেরেছেন। গিল এখনও এই রেকর্ড স্পর্শ করতে পারেননি, তবে ভবিষ্যতে দেখা যায়, দ্বিতীয় টেস্টেই হয়তো এই রেকর্ডও ভেঙে যাবে।
ভারতের জন্য ২০২৫ সালটি ছিল বেশ সফল, কিন্তু টসের দিক থেকে তারা একেবারেই দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছে। এশিয়া কাপের আগে দলটি টানা ১৫টি টস হেরে যায়, যার শুরু ইংল্যান্ডের সঙ্গে ঘরের মাঠের সিরিজ থেকে। এই অদ্ভুত রেকর্ড গড়ার মধ্যে ছিল দুটি টি-টোয়েন্টি, আটটি ওয়ানডে ও পাঁচটি টেস্ট।
অবশেষে, এশিয়া কাপে এসে ভারত এই দুনীতি থেকে মুক্তি পায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সূর্যকুমার যাদব সঠিক সিদ্ধান্ত নেন ও টসে জিতে দেশের জন্য শুভ সূচনা করেন। যেখানে তিনি ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যা পরে জয় সরাসরি ফলাফল আনে। এই ধরণের সফল সিদ্ধান্তে ভারতীয় ক্রিকেট দলের এগিয়ে যাওয়ার পথে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়।