০১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে লিভ টু আপিলের শুনানি আজ সরকার শিক্ষকদের বিপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকারের পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সহনীয় করার জন্য প্রার্থনা আহ্বান ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফের ভূমিকম্প, আতঙ্কে নগরবাসী খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় চীনা বিশেষজ্ঞদের এভারকেয়ারে আগমন খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে কারো জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গভীর সমুদ্রে অকুতোভয় কাণ্ডারী হয়ে উঠছে ক্যাডেটরা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন খালেদা জিয়াকে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা দিল এসএসএফ

নিউ জিল্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জগতে प्रवेश

বিশ্ব ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের জনপ্রিয়তা অনেক বছরই ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই লিগগুলোতে আলো-ঝলকানির খেলা, দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়, বিদেশি বিনিয়োগ এবং দর্শকদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়। আইপিএলের সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে, প্রায় প্রতিটি ক্রিকেট-মুখর দেশের নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চালুর চেষ্টা করছে।

তবে এত দিন নিউজিল্যান্ড এই খেলাধুলার দিক থেকে একটু আলাদা ছিল। তবে বর্তমানে তারা גם সেই পথে হাটার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিউইরা এখন নিজেদের দেশের জন্য একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর পরিকল্পনা করছে, যা ২০২৭ সাল থেকে শুরু হওয়ার লক্ষ্য। এই লিগটি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) মডেল অনুসরণ করে পরিচালিত হবে।

বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে একমাত্র ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা হলো সুপার স্ম্যাশ। তবে আন্তর্জাতিক তারকা না থাকার, দর্শকদের আকর্ষণে ব্যর্থ হওয়ার কারণে এই লিগটির জনপ্রিয়তা দিন দিন কমছে। ফলশ্রুতিতে, দেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন এনজেড-২০ প্রকল্পের প্রধান ডন ম্যাককিনন।

তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে সুপার স্ম্যাশের বাইরে ভাবার। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “আন্তর্জাতিক বাজারে সফল হতে হলে নিউজিল্যান্ডকে নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ তৈরি করতে হবে। এই লিগটি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো মডেলে পরিচালিত হবে, যেখানে টুর্নামেন্টের লাইসেন্স থাকবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেসি) হাতে, তবে পরিচালনা স্বতন্ত্রভাবে হবে।”

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এখনো এই প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দেয়নি। তবে অনুমোদন মিললে, এই নতুন লিগটি সুপার স্ম্যাশের পাশাপাশি জনপ্রিয়তা লাভ করবে বলে মনে করছেন ম্যাককিনন।

অতীতে ২০১৪ সালে, এনজেসি এই ধরনের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। সেই সময় বোর্ড মনে করেছিল, আইপিএল বা বিগব্যাশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা খুবই কঠিন হবে।

ম্যাককিননের মতে, এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। নিউজিল্যান্ডের নিজস্ব টি-টোয়েন্টি ব্র্যান্ড তৈরির এটি সবাইের জন্যই একটি সুযোগ। স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের মতো কিংবদন্তি ডাক্তারি লিগের পক্ষে মত দিয়েছেন। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৭ সালের জানুয়ারির মধ্যেই এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে। শেষ কয়েক মাস ধরে বোর্ডের সঙ্গে এই প্রকল্পের জন্য নিয়মিত আলোচনা চালাচ্ছেন প্রকল্পের প্রধান।

তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সময়সূচি নির্ধারণ, যাতে বিগব্যাশ (বিবিএল), আইপিএল, এসএ২০ বা আইএলটি২০ এর সঙ্গে সংঘাত না হয়। কারণ অনেক কিউই ক্রিকেটার এই লিগগুলোতে নিয়মিত খেলেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

নিউ জিল্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জগতে प्रवेश

প্রকাশিতঃ ১১:৫৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

বিশ্ব ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের জনপ্রিয়তা অনেক বছরই ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই লিগগুলোতে আলো-ঝলকানির খেলা, দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়, বিদেশি বিনিয়োগ এবং দর্শকদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়। আইপিএলের সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে, প্রায় প্রতিটি ক্রিকেট-মুখর দেশের নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চালুর চেষ্টা করছে।

তবে এত দিন নিউজিল্যান্ড এই খেলাধুলার দিক থেকে একটু আলাদা ছিল। তবে বর্তমানে তারা גם সেই পথে হাটার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিউইরা এখন নিজেদের দেশের জন্য একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর পরিকল্পনা করছে, যা ২০২৭ সাল থেকে শুরু হওয়ার লক্ষ্য। এই লিগটি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) মডেল অনুসরণ করে পরিচালিত হবে।

বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে একমাত্র ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা হলো সুপার স্ম্যাশ। তবে আন্তর্জাতিক তারকা না থাকার, দর্শকদের আকর্ষণে ব্যর্থ হওয়ার কারণে এই লিগটির জনপ্রিয়তা দিন দিন কমছে। ফলশ্রুতিতে, দেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন এনজেড-২০ প্রকল্পের প্রধান ডন ম্যাককিনন।

তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে সুপার স্ম্যাশের বাইরে ভাবার। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “আন্তর্জাতিক বাজারে সফল হতে হলে নিউজিল্যান্ডকে নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ তৈরি করতে হবে। এই লিগটি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো মডেলে পরিচালিত হবে, যেখানে টুর্নামেন্টের লাইসেন্স থাকবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেসি) হাতে, তবে পরিচালনা স্বতন্ত্রভাবে হবে।”

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এখনো এই প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দেয়নি। তবে অনুমোদন মিললে, এই নতুন লিগটি সুপার স্ম্যাশের পাশাপাশি জনপ্রিয়তা লাভ করবে বলে মনে করছেন ম্যাককিনন।

অতীতে ২০১৪ সালে, এনজেসি এই ধরনের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। সেই সময় বোর্ড মনে করেছিল, আইপিএল বা বিগব্যাশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা খুবই কঠিন হবে।

ম্যাককিননের মতে, এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। নিউজিল্যান্ডের নিজস্ব টি-টোয়েন্টি ব্র্যান্ড তৈরির এটি সবাইের জন্যই একটি সুযোগ। স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের মতো কিংবদন্তি ডাক্তারি লিগের পক্ষে মত দিয়েছেন। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৭ সালের জানুয়ারির মধ্যেই এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে। শেষ কয়েক মাস ধরে বোর্ডের সঙ্গে এই প্রকল্পের জন্য নিয়মিত আলোচনা চালাচ্ছেন প্রকল্পের প্রধান।

তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সময়সূচি নির্ধারণ, যাতে বিগব্যাশ (বিবিএল), আইপিএল, এসএ২০ বা আইএলটি২০ এর সঙ্গে সংঘাত না হয়। কারণ অনেক কিউই ক্রিকেটার এই লিগগুলোতে নিয়মিত খেলেন।