০২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে লিভ টু আপিলের শুনানি আজ সরকার শিক্ষকদের বিপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকারের পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সহনীয় করার জন্য প্রার্থনা আহ্বান ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফের ভূমিকম্প, আতঙ্কে নগরবাসী খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় চীনা বিশেষজ্ঞদের এভারকেয়ারে আগমন খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে কারো জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গভীর সমুদ্রে অকুতোভয় কাণ্ডারী হয়ে উঠছে ক্যাডেটরা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন খালেদা জিয়াকে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা দিল এসএসএফ

নিউ জিল্যান্ডও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জাতি হতে যাচ্ছে

বিশ্ব ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে বছর গুরুজন ধরে। আকাশচুম্বী দর্শকয়া আকর্ষণ, দেশি-বিদেশি তারকা খেলোয়াড়, বিদেশি বিনিয়োগ এবং বিশাল জনসমর্থনে এ লিগগুলো এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে। আইপিএলের সফলতা দেখে বেশির ভাগ দেশই এখন নিজেদের মতো করে আন্তর্জাতিক মানের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চালু করতে এগিয়ে যাচ্ছে।

তবে এত দিন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ছিল এক ব্যতিক্রম। এখন সেই পরিস্থিতি পালটে যাচ্ছে, কারণ কিউইরা এবার তাদের নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের পথে হাঁটতে যাচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) আদলে ২০২৭ সাল থেকে নিজেদের টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে।

এখনো প্রচলিত একমাত্র ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা হলো সুপার স্ম্যাশ। তবে আন্তর্জাতিক তারকা না থাকায় ও দর্শকদের আগ্রহ কমে আসায় এই লিগের গুরুত্ব দিন দিন কমছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনজেড-২০ প্রজেক্টের প্রধান ডন ম্যাককিনন বলেন, এখন সময় এসেছে সুপার স্ম্যাশের বাইরে ভাবার।

ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ESPN ক্রিকইনফোকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, নতুন পরিকল্পনায় নিউজিল্যান্ডের নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ তৈরির প্রস্তাব এসেছে। এই লিগ ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো মডেলে পরিচালিত হবে, যেখানে লিগের লাইসেন্স থাকবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেসি) হাতে, কিন্তু পরিচালনা স্বতন্ত্রভাবে হবে।

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এখনো এই প্রস্তাবের বিষয়ে সবুজ সংকেত দেয়নি, তবে অনুমোদন পেলে এটি সুপার স্ম্যাশের স্থান দখল করবে বলে মনে করছেন ম্যাককিনন। ২০১৪ সালে এক সময়ে এনজেসি এমন একটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল, তখন বোর্ড মনে করেছিল, আইপিএল বা বিগব্যাশের সাথে প্রতিযোগিতা করাটা কঠিন হবে।

ম্যাককিননের মতে, এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে এবং নিউজিল্যান্ডের নিজস্ব টি-টোয়েন্টি ব্র্যান্ড তৈরির সময় এসেছে। তিনি আরও জানান, কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্টিফেন ফ্লেমিংসহ অনেকেই নামীদামি ব্যক্তিগত মালিকানার লিগের পক্ষে মত দিয়েছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৭ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে বোর্ডের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে।

তবে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো সময়সূচি নির্ধারণ, যাতে বিগব্যাশ (বিবিএল), আইপিএল, এসএ২০ বা আইএলটি২০ এর সঙ্গে সংঘাত না হয়। কারণ এসব লিগে অনেক কিউই ক্রিকেটার নিয়মিত খেলেন, তাই সময় নির্ধারণ করাই সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

নিউ জিল্যান্ডও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জাতি হতে যাচ্ছে

প্রকাশিতঃ ১১:৫৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বিশ্ব ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে বছর গুরুজন ধরে। আকাশচুম্বী দর্শকয়া আকর্ষণ, দেশি-বিদেশি তারকা খেলোয়াড়, বিদেশি বিনিয়োগ এবং বিশাল জনসমর্থনে এ লিগগুলো এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে। আইপিএলের সফলতা দেখে বেশির ভাগ দেশই এখন নিজেদের মতো করে আন্তর্জাতিক মানের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চালু করতে এগিয়ে যাচ্ছে।

তবে এত দিন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ছিল এক ব্যতিক্রম। এখন সেই পরিস্থিতি পালটে যাচ্ছে, কারণ কিউইরা এবার তাদের নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের পথে হাঁটতে যাচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) আদলে ২০২৭ সাল থেকে নিজেদের টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে।

এখনো প্রচলিত একমাত্র ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা হলো সুপার স্ম্যাশ। তবে আন্তর্জাতিক তারকা না থাকায় ও দর্শকদের আগ্রহ কমে আসায় এই লিগের গুরুত্ব দিন দিন কমছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনজেড-২০ প্রজেক্টের প্রধান ডন ম্যাককিনন বলেন, এখন সময় এসেছে সুপার স্ম্যাশের বাইরে ভাবার।

ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ESPN ক্রিকইনফোকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, নতুন পরিকল্পনায় নিউজিল্যান্ডের নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ তৈরির প্রস্তাব এসেছে। এই লিগ ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো মডেলে পরিচালিত হবে, যেখানে লিগের লাইসেন্স থাকবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেসি) হাতে, কিন্তু পরিচালনা স্বতন্ত্রভাবে হবে।

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এখনো এই প্রস্তাবের বিষয়ে সবুজ সংকেত দেয়নি, তবে অনুমোদন পেলে এটি সুপার স্ম্যাশের স্থান দখল করবে বলে মনে করছেন ম্যাককিনন। ২০১৪ সালে এক সময়ে এনজেসি এমন একটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল, তখন বোর্ড মনে করেছিল, আইপিএল বা বিগব্যাশের সাথে প্রতিযোগিতা করাটা কঠিন হবে।

ম্যাককিননের মতে, এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে এবং নিউজিল্যান্ডের নিজস্ব টি-টোয়েন্টি ব্র্যান্ড তৈরির সময় এসেছে। তিনি আরও জানান, কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্টিফেন ফ্লেমিংসহ অনেকেই নামীদামি ব্যক্তিগত মালিকানার লিগের পক্ষে মত দিয়েছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৭ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে বোর্ডের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে।

তবে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো সময়সূচি নির্ধারণ, যাতে বিগব্যাশ (বিবিএল), আইপিএল, এসএ২০ বা আইএলটি২০ এর সঙ্গে সংঘাত না হয়। কারণ এসব লিগে অনেক কিউই ক্রিকেটার নিয়মিত খেলেন, তাই সময় নির্ধারণ করাই সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।