১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের ৬ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলায় অপমানবোধ করেছিলেন দিল্লির বায়ুদূষণ: ঐতিহাসিক লালকেল্লা কালো হয়ে যাচ্ছে সংবিধান সংশোধনে গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তরে ‘সার্ভিসিং২৪’ এর এআই ও আইওটি সেবা জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবের অংশগ্রহণ ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ইসির দায়িত্ব চান নির্বাচনী কর্মকর্তারা, অবাধ নির্বাচন নিশ্চিতের প্রত্যাশা তীব্র গরমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, সুস্থতা বিপন্ন লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, কমপক্ষে ৫০ সুদানি শরণার্থী মৃত্যু

লিভারের ৭৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত, তবুও অমিতাভ বচ্চন সুস্থ থাকছেন

বয়সকে কখনোই খুব বেশি গুরুত্ব দেননি বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। ৮৩ বছর বয়সেও তিনি অভিনয় ও সঞ্চালনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, যা দর্শকের জন্য এক অনুপ্রেরণা। তার উপস্থিতি সবসময়ই সিনেমার পর্দায় বড় চমক হিসেবে দেখা যায়। ষাটের কোটায় পৌঁছে গিয়েও তিনি কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

তবে দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন এই অভিনেতা, যেগুলো তিনি কখনো প্রকাশ করেননি। চার দশক আগে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন অমিতাভ, যেখানে তিনি মৃত্যুর কাছে এসে পৌঁছেছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর জীবনে এক ধরনের যন্ত্রণা লেগে রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ১৯৮২ সালে ‘কুলি’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন অমিতাভ। সেই সময় তার পেটে গুরুতর চোট লাগেছিল। এমনকি এক সময় তাকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন। তবে কি সেই সময়ের একটি ভুলের শাস্তিই এখন তিনি ভুগছেন?

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কুলি’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় স্টান্ট করতে গিয়ে অমিতাভ হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত হন, যা তার লিভার extensively ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই রোগের জন্য তিনি খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন এনেছেন; মাছ-মাংস একেবারেই খান না, খাচ্ছেন ডাল, শাকসবজি, রুটি ও দই। তার সঙ্গে আমলকী ও তুলসীর রসও খান। মদ্যপান ও ধূমপান পূর্ণরূপে ত্যাগ করেছেন।

১৯৮২ সালের সেই দুর্ঘটনার পর, তার শরীরে ৬০ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে একজনের শরীরে ছিল হেপাটাইটিস বি ভাইরাস। সেই সংক্রমণ ধীরে ধীরে তার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত করে। ২০০০ সালের পরে তিনি এই রোগের বিষয়ে জানতে পারেন। সেই সময় আবার যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন। দিনে ৮-১০টি ওষুধ খেয়ে তিনি তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার লিভার পুরোপুরি কাজ করতে না পারার মুখোমুখি হয়েছেন।

অমিতাভ বচ্চন বলেছেন, ‘১৯৮২ সালে সেই দুর্ঘটনার পর, নিয়মিত চেকআপের সময় জানতে পারি আমার লিভারের অন্তত ৭৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে আমি এখন আমার সম্পূর্ণ লিভারের ২৫ শতাংশের সাহায্যে জীবিত।’ এই ঘটনার পর থেকে তিনি জীবনযাপন ও কাজের ধরণে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। ফিটনেস ও সতর্কতার ব্যাপারে তিনি এখন আরও অনেক বেশি নজর দিচ্ছেন, যার ফলেই ৮২ বছর বয়সেও তিনি সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারছেন।

ট্যাগ :

নির্বাচন করার মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি

লিভারের ৭৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত, তবুও অমিতাভ বচ্চন সুস্থ থাকছেন

প্রকাশিতঃ ১০:৫৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বয়সকে কখনোই খুব বেশি গুরুত্ব দেননি বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। ৮৩ বছর বয়সেও তিনি অভিনয় ও সঞ্চালনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, যা দর্শকের জন্য এক অনুপ্রেরণা। তার উপস্থিতি সবসময়ই সিনেমার পর্দায় বড় চমক হিসেবে দেখা যায়। ষাটের কোটায় পৌঁছে গিয়েও তিনি কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

তবে দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন এই অভিনেতা, যেগুলো তিনি কখনো প্রকাশ করেননি। চার দশক আগে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন অমিতাভ, যেখানে তিনি মৃত্যুর কাছে এসে পৌঁছেছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর জীবনে এক ধরনের যন্ত্রণা লেগে রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ১৯৮২ সালে ‘কুলি’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন অমিতাভ। সেই সময় তার পেটে গুরুতর চোট লাগেছিল। এমনকি এক সময় তাকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন। তবে কি সেই সময়ের একটি ভুলের শাস্তিই এখন তিনি ভুগছেন?

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কুলি’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় স্টান্ট করতে গিয়ে অমিতাভ হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত হন, যা তার লিভার extensively ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই রোগের জন্য তিনি খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন এনেছেন; মাছ-মাংস একেবারেই খান না, খাচ্ছেন ডাল, শাকসবজি, রুটি ও দই। তার সঙ্গে আমলকী ও তুলসীর রসও খান। মদ্যপান ও ধূমপান পূর্ণরূপে ত্যাগ করেছেন।

১৯৮২ সালের সেই দুর্ঘটনার পর, তার শরীরে ৬০ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে একজনের শরীরে ছিল হেপাটাইটিস বি ভাইরাস। সেই সংক্রমণ ধীরে ধীরে তার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত করে। ২০০০ সালের পরে তিনি এই রোগের বিষয়ে জানতে পারেন। সেই সময় আবার যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন। দিনে ৮-১০টি ওষুধ খেয়ে তিনি তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার লিভার পুরোপুরি কাজ করতে না পারার মুখোমুখি হয়েছেন।

অমিতাভ বচ্চন বলেছেন, ‘১৯৮২ সালে সেই দুর্ঘটনার পর, নিয়মিত চেকআপের সময় জানতে পারি আমার লিভারের অন্তত ৭৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে আমি এখন আমার সম্পূর্ণ লিভারের ২৫ শতাংশের সাহায্যে জীবিত।’ এই ঘটনার পর থেকে তিনি জীবনযাপন ও কাজের ধরণে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। ফিটনেস ও সতর্কতার ব্যাপারে তিনি এখন আরও অনেক বেশি নজর দিচ্ছেন, যার ফলেই ৮২ বছর বয়সেও তিনি সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারছেন।