১০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
দিল্লির বায়ুদূষণ: ঐতিহাসিক লালকেল্লা কালো হয়ে যাচ্ছে সংবিধান সংশোধনে গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের ৬ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলায় অপমানবোধ করেছিলেন ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তরে ‘সার্ভিসিং২৪’ এর এআই ও আইওটি সেবা জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবের অংশগ্রহণ ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ইসির দায়িত্ব চান নির্বাচনী কর্মকর্তারা, অবাধ নির্বাচন নিশ্চিতের প্রত্যাশা তীব্র গরমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, সুস্থতা বিপন্ন লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, কমপক্ষে ৫০ সুদানি শরণার্থী মৃত্যু

শ্রাবন্তী জানান, তার ছেলে ও তার বন্ধুরা তাকে ‘দিদি’ বলে ডাকে, ‘আন্টি’ নয়

কৈশোরে সংসার শুরু করেছেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই তিনি মা হয়েছেন। সন্তান ঝিনুকের সাথে তাঁর সম্পর্ক অনেকটা বন্ধুর মতো। ঝিনুকের বন্ধুরাও তাকে আন্টির বদলে দিদি বলে ডাকেন, যা শুনে তিনি খুবই খুশি। সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার সিনেমা, ব্যক্তিগত জীবন এবং বিভিন্ন প্রসঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন।

শ্রাবন্তী জানিয়েছেন, তখন তিনি দশম শ্রেণিতে পড়ছেন। মুক্তি পেয়েছিল তাঁর সিনেমা ‘চ্যাম্পিয়ন’। সেই সময়ই তিনি মা হয়েছিলেন, অর্থাৎ ক্লাস ইলেভেনে বাবা হন তিনি। অনেকেই তাকে এই বয়সে মা হওয়ার জন্য অনেক প্রশংসা করেন, কেউ কেউ ‘ইঁচড়ে পাকা’ বলেও কটাক্ষ করেন।

ক্যারিয়ারে বিভিন্ন সময়ে তিনি সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা রটনা হয়েছে। এসব বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘সেগুলো এখন আর গায়ে মাখি না। আমি মনে করি, ছোটবেলায় মা হওয়া অনেক সুবিধার। ঝিনুকের পাঁচ বছর পরে আবার আমি কাজে ফিরেছি, তখন আমি মাত্র ২১ বছর। তবে সত্যি বলতে, ১৬ বছরে মা হওয়া খুবই কম বয়স। এটা একটু বাড়াবাড়ি।’

অভিনেত্রী আরও জানান, সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে তিনি নিজেও ছেলে ঝিনুকের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। একবার যখন দেবী চৌধুরাণীর চিত্রনাট্য এসেছিল, তখন সেটির প্রথম শুনানিও ঝিনুককে শুনিয়েছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমরা মা-ছেলের থেকেও বেশি বন্ধু। মাত্র ১৬ বছরের পার্থক্য। ঝিনুকের বন্ধুরাও আমাকে ‘দিদি’ বলে ডাকেন, কেউ বা ‘আন্টি’ বলে না। আমি তাদের সকলের বড় বন্ধু।’

সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তী জানিয়েছেন, তিনি তার ছেলেকে ও তার বন্ধুদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে থাকেন। এতে করে তিনি লিঙ্গসাম্য ও সাধারণ ভাষা বুঝতে পারেন। এই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এত প্রভাব ছিল না, এখন অনেক পোর্টাল তৈরি হয়েছে যা যা লিখে দেয়। তিনি মনে করেন, নতুন প্রজন্মকে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে, যাতে তাদের ভালো কাজের প্রতি মনোযোগ থাকে এবং বিনা কারণ খারাপ লাগা থেকে বিরত থাকে।

ট্যাগ :

নির্বাচন করার মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি

শ্রাবন্তী জানান, তার ছেলে ও তার বন্ধুরা তাকে ‘দিদি’ বলে ডাকে, ‘আন্টি’ নয়

প্রকাশিতঃ ১০:৫৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কৈশোরে সংসার শুরু করেছেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই তিনি মা হয়েছেন। সন্তান ঝিনুকের সাথে তাঁর সম্পর্ক অনেকটা বন্ধুর মতো। ঝিনুকের বন্ধুরাও তাকে আন্টির বদলে দিদি বলে ডাকেন, যা শুনে তিনি খুবই খুশি। সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার সিনেমা, ব্যক্তিগত জীবন এবং বিভিন্ন প্রসঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন।

শ্রাবন্তী জানিয়েছেন, তখন তিনি দশম শ্রেণিতে পড়ছেন। মুক্তি পেয়েছিল তাঁর সিনেমা ‘চ্যাম্পিয়ন’। সেই সময়ই তিনি মা হয়েছিলেন, অর্থাৎ ক্লাস ইলেভেনে বাবা হন তিনি। অনেকেই তাকে এই বয়সে মা হওয়ার জন্য অনেক প্রশংসা করেন, কেউ কেউ ‘ইঁচড়ে পাকা’ বলেও কটাক্ষ করেন।

ক্যারিয়ারে বিভিন্ন সময়ে তিনি সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা রটনা হয়েছে। এসব বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘সেগুলো এখন আর গায়ে মাখি না। আমি মনে করি, ছোটবেলায় মা হওয়া অনেক সুবিধার। ঝিনুকের পাঁচ বছর পরে আবার আমি কাজে ফিরেছি, তখন আমি মাত্র ২১ বছর। তবে সত্যি বলতে, ১৬ বছরে মা হওয়া খুবই কম বয়স। এটা একটু বাড়াবাড়ি।’

অভিনেত্রী আরও জানান, সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে তিনি নিজেও ছেলে ঝিনুকের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। একবার যখন দেবী চৌধুরাণীর চিত্রনাট্য এসেছিল, তখন সেটির প্রথম শুনানিও ঝিনুককে শুনিয়েছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমরা মা-ছেলের থেকেও বেশি বন্ধু। মাত্র ১৬ বছরের পার্থক্য। ঝিনুকের বন্ধুরাও আমাকে ‘দিদি’ বলে ডাকেন, কেউ বা ‘আন্টি’ বলে না। আমি তাদের সকলের বড় বন্ধু।’

সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তী জানিয়েছেন, তিনি তার ছেলেকে ও তার বন্ধুদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে থাকেন। এতে করে তিনি লিঙ্গসাম্য ও সাধারণ ভাষা বুঝতে পারেন। এই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এত প্রভাব ছিল না, এখন অনেক পোর্টাল তৈরি হয়েছে যা যা লিখে দেয়। তিনি মনে করেন, নতুন প্রজন্মকে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে, যাতে তাদের ভালো কাজের প্রতি মনোযোগ থাকে এবং বিনা কারণ খারাপ লাগা থেকে বিরত থাকে।