০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

নেতানিয়াহুর নিউইয়র্ক সফর ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক উদ্দেশ্যে সফর করছেন। এই সফরের সময় বিভিন্ন স্থানে প্রবল বিক্ষোভের মুখোমুখি হন তিনি। নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে বহু বিক্ষোভকারী জমায়েত হন, যেখানে তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াচ্ছেন, কেফিয়েহ স্কার্ফ পরিধান করে উপস্থিত। onlar ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘গাজাকে অনাহারে মারো না’, ‘আমেরিকা, ইউরোপ, মানবতা’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা ব্যানার বহন করছেন। এরপর তারা মিছিল করে জাতিসংঘ ভবনের দিকে অগ্রসর হন। মিছিলে উপস্থিত জনতা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেন, তাদের অনেকের স্লোগান ছিল, ‘নেতানিয়াহু, তুমি পালাতে পারবে না, তোমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ।’ এটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্য।

একই দিনে, জাতিসংঘে নেতানিয়াহু একটি ভাষণে পশ্চিমা দেশগুলোকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেন, তাদের ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য চাপ দিতে। তাঁর ভাষণের শুরুতেই অনেক প্রতিনিধিই সভা ছেড়ে চলে যান।

তবে গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে হাজার হাজার মানুষের মৃতদেহ ও গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের ব্যাপক জনসংখ্যা স্থানচ্যুতির ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের ছবি ও পরিস্থিতি মানুষের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের একজনেক বলছে, এই হামলাকে তারা গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করছেন।

ইসরায়েল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জনের বেশি বন্দি হয়েছেন বলে দাবি করেছে, যা তারা আত্মরক্ষার জন্য নিয়েছে।

অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ মিত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। তিনি বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার ও কিছু ক্ষেত্রে বিতাড়নের উদ্যোগ নেন, যা নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

নেতানিয়াহুর নিউইয়র্ক সফর ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ

প্রকাশিতঃ ১০:৫৪:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক উদ্দেশ্যে সফর করছেন। এই সফরের সময় বিভিন্ন স্থানে প্রবল বিক্ষোভের মুখোমুখি হন তিনি। নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে বহু বিক্ষোভকারী জমায়েত হন, যেখানে তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াচ্ছেন, কেফিয়েহ স্কার্ফ পরিধান করে উপস্থিত। onlar ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘গাজাকে অনাহারে মারো না’, ‘আমেরিকা, ইউরোপ, মানবতা’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা ব্যানার বহন করছেন। এরপর তারা মিছিল করে জাতিসংঘ ভবনের দিকে অগ্রসর হন। মিছিলে উপস্থিত জনতা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেন, তাদের অনেকের স্লোগান ছিল, ‘নেতানিয়াহু, তুমি পালাতে পারবে না, তোমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ।’ এটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্য।

একই দিনে, জাতিসংঘে নেতানিয়াহু একটি ভাষণে পশ্চিমা দেশগুলোকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেন, তাদের ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য চাপ দিতে। তাঁর ভাষণের শুরুতেই অনেক প্রতিনিধিই সভা ছেড়ে চলে যান।

তবে গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে হাজার হাজার মানুষের মৃতদেহ ও গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের ব্যাপক জনসংখ্যা স্থানচ্যুতির ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের ছবি ও পরিস্থিতি মানুষের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের একজনেক বলছে, এই হামলাকে তারা গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করছেন।

ইসরায়েল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জনের বেশি বন্দি হয়েছেন বলে দাবি করেছে, যা তারা আত্মরক্ষার জন্য নিয়েছে।

অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ মিত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। তিনি বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার ও কিছু ক্ষেত্রে বিতাড়নের উদ্যোগ নেন, যা নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে।