বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের চেহারা ও ওজন পরিবর্তনের গল্প অনেকের জন্য জানা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্তান জন্মের পরে স্বাভাবিকভাবেই তার চেহারায় কিছু পরিবর্তন এসেছিল এবং ওজনও কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। তবে এখন তিনি আবার আগের মতো সুগঠিত ও ছিপছিপে দেখা দেন। আজকের দিনটি পর্যন্ত তার এই রূপ ফিরে পেতে কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক ডায়েটের ফল বলে মনে করছেন অনেকে।
আলিয়া ভাটের বর্তমান অবয়ব দেখলে এটা বুঝতে সহজ যে, তিনি নিয়মিত শরীরচর্চা ও সচেতন খাবার খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে, ২০২০ সাল থেকে তিনি ভেগান ডায়েট অনুসরণ করছেন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন, তিনি অনেকক্ষণ পেটের ব্যাপারে সচেতন থাকেন না। বেশিরভাগ সময় তিনি ২ ঘণ্টা অন্তর পুষ্টিকর খাবার খান। তার পছন্দের খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফল। এই ধরনের ভেদবিহীন ভেজাল মুক্ত খাবার থেকে তিনি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম পাচ্ছেন, যা তার নির্মিত শরীরের মূল ভিত্তি।
আলিয়া তার ডায়েটের মধ্যে কয়েকটি রেসিপিও শেয়ার করেছেন। তার মধ্যে দুটি হলো:
১. বিট সালাদ
উপকরণ: ছোট ছোট বিটরুট, দই, গোলমরিচ, চাট মসলা, কালো সরষে, গোটা জিরা, ধনেপাতা, কারিপাতা, হিং।
প্রণালি: কুচিয়ে নেওয়া বিট, দই, চাট মসলা, ধনেপাতা ও গোলমরিচ ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর একটি প্যানে এক চামুচ তেল গরম করে তার মধ্যে গোটা জিরা, সরষে, কারিপাতা ও হিং ফোড়ন দিন। এরপর এ মিশ্রণটি বিট ও দইয়ের উপর ঢেলে দিন। এই সালাদ খুবই সুস্বাদু এবং নিয়মিত খেলে শরীরের ফাইবার ও প্রোবায়োটিকের পাশাপাশি ওজন কমতেও সাহায্য করে।
২. স্কোয়াশে সবজি
উপকরণ: কাটা স্কোয়াশ, কালো সরষে, কারিপাতা, ধনে পাতা, কাঁচালঙ্কা, হিং, ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, আমচুর পাউডার ও নারিকেল।
প্রণালি: কড়াইতে তেল গরম করে তার মধ্যে কারিপাতা, লঙ্কা ও হিং ফোড়ন দিন। তারপর ছোট ছোট স্কোয়াশ কাটা দিয়ে স্বাদমতো লবণ দিয়ে নাড়ুন। ২-৩ মিনিট পরে ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া ও আমচুর দিয়ে আরো নাড়াচাড়া করে দিন। শেষে নারিকেল কোরা ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। এই নিয়মিত খাবারটি দ্রুত ওজন কমাতে কার্যকরী।
আলিয়া ভাটের এই ডায়েট পরিকল্পনা বুঝিয়ে দেয় যে, সচেতনতা, সঠিক খাবার ও নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরের কাঙ্খিত রূপ পাওয়া সম্ভব। সকলের জন্যই এই নিয়মগুলো অনুসরণ করা উচিত যাতে সুস্থ ও সুন্দর থাকা যায়।