বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনও কাউকে আক্রমণ করবে না। তবে আক্রান্ত হলে পাল্টা আক্রমণ করা হবে।’
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট ভবনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
‘সবুজ বাংলাদেশ: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সম্মেলনটি চলবে রোববার পর্যন্ত।
বিএনপির নানা কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে হামলা-মারামারি করে মিডিয়া কাভারেজ পাওয়ার চেষ্টা করেন। আমরা আশঙ্কা করছি ২০১৩-১৪ তে তারা যেভাবে আগুন, সন্ত্রাস, বোমাবাজি করেছিল, সেটারই পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাইবে।’
নারায়ণগঞ্জে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলি চালানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা যখনই রাজপথে আসে, তখন আন্দোলন জমানোর জন্য, দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, মিডিয়া কাভারেজের জন্য নিজেরাই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। যাতে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশকে আপনি আক্রান্ত করবেন, পুলিশ কী নিজেকে রক্ষা করবে না? অবশ্যই রক্ষা করবে।’
কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটাতে পারবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা করছে।
‘দলটিতে এখন কর্মী নেই, যারা আছে তারা দুর্বৃত্ত হয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। যারা সন্ত্রাসী, মামলার আসামি তাদেরকে যদি এসব অপরাধের জন্য পুলিশ ধরে, তাহলে কী পুলিশের অপরাধ?’
অপরাধ যারা করবে তারা আওয়ামী লীগের হলেও কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। বলের, ‘যে অপরাধ করবে, সে যে দলেরই হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, ‘বিএনপির লোকজন অপরাধী হলে তাদেরকে আইনের আওতায় নিলে কেন এত আপত্তি?’
বিএনপিকে রাজপথে প্রতিহতের ঘোষণার বিষয়ে এক প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘আমি গায়ে পড়ে আক্রমণ করব না। কিন্তু আমি যদি তাদের দ্বারা আক্রান্ত হই তখন নিজেকে রক্ষা করার জন্য পাল্টা জবাব দিতে হবে। আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ জবাব দেবে।’
বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন।