০৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
নির্বাচনই গণতন্ত্রের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার সরকারের জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের যৌথ উদ্যোগ চায় রাজনৈতিক দলগুলো সংশোধিত মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশে টিআইবির গভীর উদ্বেগ ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ কোটি ৭৬ লাখ জাতীয় নির্বাচন শেষে ফেব্রুয়ারিতেই বইমেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নবীনগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা-গুলিবর্ষণে নিহত ১, আহত ৩ নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত বিষয়ক দ্বিতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের পরে তাবলিগের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে সরকার আশাবাদী সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে, ইসি আনোয়ারের দাবি সমাজ-রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়: রুহুল কবির রিজভী

তানজিদের রেকর্ডে নাঈমের দখল ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত বুধবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫১ বলে ৬১ রান করেছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার তানজিদ হাসান। ১৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেললে এই ধরনের ইনিংস যদি কেউ খেলে, তবে দলের জয়ে যেমন সম্ভাবনা বেড়ে যায়, তেমনি দর্শকদের মনে নতুন আশা জোগায়। তবে চট্টগ্রামে খেলা এই ম্যাচে অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি। জাকের আলী, শামীম হোসেনদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ হেরেছে ১৪ রানের ব্যবধানে। এর ফলে তানজিদের ঠাসবদ্ধ স্টোরির মাঝে একটু আক্ষেপও দেখা দিয়েছে। তবে এই ম্যাচের মধ্যেই গড়ে তুলেছেন এক নতুন নজির। গত বুধবার বাংলাদেশের হয়ে এক বছরে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রান করার রেকর্ড নিজের নামে লেখেন তানজিদ। তিনি চলতি বছর ২৩ ইনিংসে ৬২২ রান করেছেন, যা এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তার স্ট্রাইকরেট ১৩৫.২১ এবং ইনিংসটি তিনি ফিফটি করে রান করেছেন ৬ বার। তার গড় ২৯.৬১। এ বছর তানজিদ ছক্কা মারেছেন ৩৪টি, যা বাংলাদেশের এক বছরে সর্বোচ্চ। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে এক বছরে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড ছিল মোহাম্মদ নাঈমের দখলে। ২০২১ সালে নাঈম ২৬ ইনিংসে ৫৭৫ রান করেন, তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১০০.৩৪ এবং তিনি তিনটি ফিফটি করেন। তালিকায় নাঈমের পরে লিটন দাসের নাম দেখা যায়। এই বছর তিনি ২১ ইনিংসে ৫৬৪ রান করেছেন, স্ট্রাইকরেট ১৩২.৭০, এবং মোট চারটি ফিফটি করেছেন। ২০২২ সালে লিটন ৫০০র বেশি রান করেছিলেন, যেখানে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১৪০.২০ এবং রানসংখ্যা ছিল ৫৪৪। এক বছরে ৫০০ বা তার বেশি রান করেছে দলের আরও একজন খেলোয়াড়—আফিফ হোসেন, যিনি ২০২২ সালে ৫০০ রান করেছিলেন, তার স্ট্রাইকরেট ১২৩.৭৬। অন্যদিকে, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ কখনো এক বছরের মধ্যে ৫০০ এর বেশি রান করতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহ সর্বোচ্চ ২০২১ সালে ৪৯৬ রান করেন, আর ২০১৮ সালে করেন ৪১৪ রান। মুশফিক ও সাকিবের এক বছরে সর্বোচ্চ রান যথাক্রমে ৩৯৭ ও ৩৪৯, যা তারা করেনি।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

রাশিয়ার পরমাণু পরীক্ষায় ট্রাম্পকে চাপ দিতে চায় রাশিয়া

তানজিদের রেকর্ডে নাঈমের দখল ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ ১১:৫৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত বুধবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫১ বলে ৬১ রান করেছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার তানজিদ হাসান। ১৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেললে এই ধরনের ইনিংস যদি কেউ খেলে, তবে দলের জয়ে যেমন সম্ভাবনা বেড়ে যায়, তেমনি দর্শকদের মনে নতুন আশা জোগায়। তবে চট্টগ্রামে খেলা এই ম্যাচে অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি। জাকের আলী, শামীম হোসেনদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ হেরেছে ১৪ রানের ব্যবধানে। এর ফলে তানজিদের ঠাসবদ্ধ স্টোরির মাঝে একটু আক্ষেপও দেখা দিয়েছে। তবে এই ম্যাচের মধ্যেই গড়ে তুলেছেন এক নতুন নজির। গত বুধবার বাংলাদেশের হয়ে এক বছরে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রান করার রেকর্ড নিজের নামে লেখেন তানজিদ। তিনি চলতি বছর ২৩ ইনিংসে ৬২২ রান করেছেন, যা এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তার স্ট্রাইকরেট ১৩৫.২১ এবং ইনিংসটি তিনি ফিফটি করে রান করেছেন ৬ বার। তার গড় ২৯.৬১। এ বছর তানজিদ ছক্কা মারেছেন ৩৪টি, যা বাংলাদেশের এক বছরে সর্বোচ্চ। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে এক বছরে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড ছিল মোহাম্মদ নাঈমের দখলে। ২০২১ সালে নাঈম ২৬ ইনিংসে ৫৭৫ রান করেন, তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১০০.৩৪ এবং তিনি তিনটি ফিফটি করেন। তালিকায় নাঈমের পরে লিটন দাসের নাম দেখা যায়। এই বছর তিনি ২১ ইনিংসে ৫৬৪ রান করেছেন, স্ট্রাইকরেট ১৩২.৭০, এবং মোট চারটি ফিফটি করেছেন। ২০২২ সালে লিটন ৫০০র বেশি রান করেছিলেন, যেখানে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১৪০.২০ এবং রানসংখ্যা ছিল ৫৪৪। এক বছরে ৫০০ বা তার বেশি রান করেছে দলের আরও একজন খেলোয়াড়—আফিফ হোসেন, যিনি ২০২২ সালে ৫০০ রান করেছিলেন, তার স্ট্রাইকরেট ১২৩.৭৬। অন্যদিকে, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ কখনো এক বছরের মধ্যে ৫০০ এর বেশি রান করতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহ সর্বোচ্চ ২০২১ সালে ৪৯৬ রান করেন, আর ২০১৮ সালে করেন ৪১৪ রান। মুশফিক ও সাকিবের এক বছরে সর্বোচ্চ রান যথাক্রমে ৩৯৭ ও ৩৪৯, যা তারা করেনি।